Logo
Logo
×

সারাদেশ

স্বামীর দেওয়া আগুনে স্ত্রী-শ্যালকের মৃত্যু

Icon

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ পিএম

স্বামীর দেওয়া আগুনে স্ত্রী-শ্যালকের মৃত্যু

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় দাম্পত্য কলহের জেরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার ৫ দিন পর বুধবার দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী শারমিন আক্তার (৩০) ও শ্যালক রুবেল হোসেনের (৩২) মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দগ্ধে আহত শিরিন আক্তারের অবস্থাও সংকটাপন্ন।

গত শুক্রবার সকালে উপজেলার গওলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী হাসান আলীকে পুলিশ নজরদারিতে রেখেছে।

সাটুরিয়া থানা পুলিশ, ভুক্তভোগী পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে ধামরাইয়ের রাজাপুর গ্রামের হাসান আলীর সঙ্গে সাটুরিয়া উপজেলার গওলা গ্রামের মৃত আতোয়ার হোসেনের মেয়ে শারমিন আক্তারের বিয়ে হয়। এ দম্পতির ৮ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর ধরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্যকলহ দেখা দেয়। এ নিয়ে হাসান তার স্ত্রী শারমিনকে মারধরও করতেন। এই দাম্পত্য কলহের জেরে গত সোমবার অভিমান করে ছেলেকে নিয়ে শারমিন গওলা গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে আসেন।

শুক্রবার সকালে হাসান শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে শারমিন পাশের চাচার বাড়িতে যান। সকাল ১০টার দিকে হাসান চাচা শ্বশুরের ঘরের ভেতর গিয়ে শারমিনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় চাচি শিরিন আক্তার (৫৫) ও শারমিনের চাচাতো ভাই রুবেল (৩২) তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাদের শরীরেও কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন।

এতে শারমিন ও তার চাচি শিরিন ও চাচাতো ভাই রুবেলের গায়ে আগুন ধরে যায়। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে তাদের তিনজনের শরীর আগুনে ঝলসে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে শিরিন ও রুবেলকে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

এদিকে শারমিনকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শারমিন ও রুবেল মারা যান।

সাটুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো বলেন, খবর পেয়ে ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে আসামি হাসান পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম