এদেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই: ব্যারিস্টার কায়সার
কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, এ দেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। আমরা সবাই বাঙালি। এই দেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে সবার অবদান রয়েছে। এখানে সবাই তার নিজ নিজ ধর্ম পালন করবেন এটাই স্বাভাবিক। আমরা সবাই সবার ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করি, আনন্দ ভাগাভাগি করি। সামনে দুর্গাপূজা। আমাদের এই কলমাকান্দায় গারো, খ্রিস্টান, হিন্দু, মুসলমান সবাই মিলে মিশে আছি। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার দুপুরে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এমএ খায়েরের সভাপতিত্বে ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুর রহমান খান পাঠানের সঞ্চালনায় কায়সার কামাল বলেন, আপনারা কেন ভুলে যান যে- এই দেশের মালিক জনগণ। আমরা এখন একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করবো এই দেশে কোন অনাচার থাকবে না, কোন বঞ্চনা থাকবে না, জাতি বা বর্ণে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। কোনো ধরনের বৈষম্য থাকবে না। ছাত্র-জনতা আমাদের এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তারা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। আমরা কখনো তাদের এই আত্মত্যাগ ধূলিসাৎ হতে দিতে পারিনা। সুতরাং সবাই মিলে এখন দেশগড়ার কাজে নিয়োজিত হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিরুদ্ধে, দেশের মানুষের বিরুদ্ধে পরাজিত শক্তিরা এখনো ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের হাতে অনেক টাকা আছে। তারা দেশটি লুটে খেয়ে ফেলছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী এখন নিজেদের রক্ষা করতে আমাদের দলে অনুপ্রবেশ করতে চেষ্টা করছেন। তাদের সম্বন্ধে সচেতন থাকবেন। আর কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নিবেন না। যে অন্যায় করে আর যে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না রেখে নিজের হাতে আইন তুলে নেন তিনিও কিন্তু সমান অপরাধী। অনেক স্থানে বেশ কিছু মামলা হচ্ছে। জড়িত না থাকলে অহেতুক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না।
কায়সার কামাল বলেন, বিএনপি কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। প্রতিহিংসা কখনো সুফল বয়ে আনে না, এটা আওয়ামী লীগ প্রত্যক্ষ নিদর্শন। এত মন্দ কাজই তারা করেছিল যে- তাদের সব নেতাকর্মীকে এখন পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হয়রানি, বা কোনো অশুভ কাজ করেন তবে তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। যে যত বড় নেতাই হোন না কেন তাকে কিন্তু কোন ক্ষমা করা হবে না। ইতিমধ্যে চাঁদাবাজি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার ও কারণ দর্শনোর নোটিশ করা হয়েছে।
এর আগে আন্দোলনে নিহত কলমাকান্দার স্কুলছাত্র মো. আহাদুন, ভ্যানচালক মো. সোহাগ মিয়া, পোশাক শ্রমিক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মেহেদি হাসানের পরিবারকে নিজ তহবিল থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করেন।