রক্ত ঝরলেই খুশি হতেন শেখ হাসিনা: মামুনুল হক
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ পিএম
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, সব ইসলামী ও দেশপ্রেমিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। আজ যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তারাই এদেশের মানুষের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের বিরুদ্ধে ৭২-এর সংবিধান রচনা করেছিল। একটি দেশের প্রেসক্রিপশনে তা করা হয়। কাজেই সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বজ্রকঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রধান আকাঙ্ক্ষা ছিল মানুষের রক্ত। এই রক্ত ঝরলেই হাসিনা খুশি হতেন। কেননা তার দীর্ঘ ৫০ বছরের রাজনীতির মূল লক্ষ্যই ছিল তার পিতা হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া। তিনি এ প্রতিশোধ শুধু দেশের মানুষের ওপরই নেননি, তার দল আওয়ামী লীগের প্রতিও তিনি সেই প্রতিশোধ নিয়েছেন। এজন্য তার দলের নেতাকর্মীদের কথা একটিবারের জন্যও না ভেবে পালিয়ে গেলেন দিল্লির ঘরে।
রোববার বিকালে দিনাজপুর ইনিস্টিটিউট মাঠ প্রাঙ্গণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও অভ্যুত্থানের শহিদদের রূহের মাগফিরাত, আহতদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন কামনায় দোয়া মাহফিল এবং নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস দিনাজপুর জেলা শাখার আয়োজনে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুনুল হক এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনাকে মানসিক প্রতিবন্ধী উল্লেখ করে আল্লামা মামুনুল হক বলেন, এই প্রতিবন্ধীকে মানুষের ওপর দীর্ঘ সময় চাপিয়ে দেওয়ার অপরাধেই আওয়ামী লীগের বিচার হওয়া প্রয়োজন।
‘ধর্ম-বর্ণ-ভিন্নমত, সবার জন্য খেলাফত’ এই স্লোগানে উজ্জীবিত খেলাফত মজলিসের এ গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালউদ্দিন আহমাদ ও মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা।
খেলাফত মজলিস দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মোশাররফ হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জোবায়ের সাঈদের সঞ্চালনায় এতে খেলাফত মজলিসের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া দিনাজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট মাইনুল আলম, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।