চাপের মুখে পদত্যাগ করলেন ইউএসটিসির রেজিস্ট্রার
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম
ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রামে (ইউএসটিসি) ভিসি হিসেবে সদ্য নিয়োগ পেয়েছেন ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। তার নিয়োগ বাতিলের দাবিতে রোববার বেলা ১২টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। অথচ নিয়োগ পাওয়ার তিন দিনের মাথায় শারীরিক অসুস্থতার কারণে যোগদানে অপারগতা প্রকাশ করে ইউএসটিসি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়েছেন ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।
পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) পদ থেকে পদত্যাগ করেন দিলীপ কুমরা বড়ুয়া।
জানা গেছে, মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ড. গৌতম বুদ্ধ দাশকে ৪ বছরের জন্য ইউএসটিসির ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৮ বছর চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য ছিলেন। সেখানে ভিসি হিসেবে থাকাকালে গৌতম বুদ্ধের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ ও স্বজনপ্রীতিসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। দুর্নীতির টাকায় পদ-পদবি টিকিয়ে রাখা এবং নানা পুরস্কার কিনে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হন সিভাসু শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাসুদুজ্জামান ও ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ আহমাদ আল-নাহিদ।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিভাসুর সাবেক ভিসি ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। তিনি যুগান্তরকে বলেন, সিভাসুতে ভিসি হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালীন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। তারাই এখন বিভিন্ন মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ নই। চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েক মাস দেশের বাইরে ছিলাম। ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য আমি প্রস্তুত নই। এ কারণে অপারগতা প্রকাশ করে গত বৃহস্পতিবার ইউএসটিসির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের চিঠি পাঠিয়েছি।
এদিকে রোববার ভিসির নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা যোগদান না করার বিষয়টি জানতে পেরে রেজিস্ট্রারের দাবি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার দিলীপ কুমার বড়ুয়া গত ৭ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ পদটিতে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানতে চাইলে দিলীপ কুমার বড়ুয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি। তারা যে ধরনের মারমুখী ছিলেন তাতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যেতে পারত। তবে শিক্ষার্থীরা আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তুলেছেন তার একটিও সত্যি নয়।