‘ভারতের সহযোগিতায় বিডিআর হত্যাকাণ্ড হয়েছে’
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ পিএম
২০১৯ সালে পিলখানায় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও চাকরিচ্যুত সব বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে বরিশাল প্রেস ক্লাবে চাকরিচ্যুত ডিবিআর সদস্যরা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ভারত ও এদেশের কিছু ব্যক্তিদের মদদে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। উল্টো দায় চাপিয়ে নিরপরাধ ১৮ হাজার ৫২০ জনকে চাকরিচ্যুতসহ বিভিন্ন দণ্ড দেওয়া হয়।
এরপর ৯ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে চাকরিচ্যুত হাবিলদার মোশারেফ হোসেন বলেন, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী একের পর এক বিডিআরের কাছে পরাজিত হয়েছিল। এ ক্ষোভ থেকে ভারত ও দেশের কিছু ব্যক্তিদের মদদে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ডিবিআরকে পঙ্গু করতে মেধাবী অফিসারদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে উল্টো দায় চাপিয়ে নিরপরাধ ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআরকে কারাদণ্ডসহ চাকরিচ্যুত করেছে। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চাকরিচ্যুত নিরপরাধ বিডিআর সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই যাদের চাকরির বয়সসীমা রয়েছে তাদের চাকরিতে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। যাদের বয়সসীমা শেষ তাদের পেনশনসহ শতভাগ সুবিধা প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। এরপর তারা ৯ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে পেশ করেন।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের দাবিগুলো হলো- বিডিআর বিদ্রোহ না বলে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করা। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করতে হবে। চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালসহ সব সুবিধা দিতে হবে। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদ্ধার ও কুশীলবদের শনাক্তে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন। শাহাদতবরণকারী ৫৭ মেধাবী সেনা কর্মকর্তাসহ নিহত ৭৪ জনকে শহিদী মর্যাদা দিতে হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারিকে পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস ঘোষণা। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পরবর্তী তদন্ত বা জিজ্ঞাসাবাদের নামে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করা বিডিআর সদস্যদের তালিকা প্রকাশ ও তাদের পরিবারকে সহায়তা প্রদান। জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত করে বিচার। বিশেষ আদালতের দেওয়া সাজা শেষেও অনেক ডিবিআর সদস্য বিস্ফোরক মামলায় ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি রয়েছেন। তাদের মুক্তি দিতে হবে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- চাকরিচ্যুত হাবিদার শহিদুল ইসলাম, মো. ইউনুস, আবদুর রহিম, সিপাহী মনিরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান প্রমুখ।