সীমান্তে ফেলানীর মতো কাউকে ঝুলন্ত দেখতে চাই না: সারজিস আলম
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০২ এএম
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমাদের সীমান্তগুলোতে ফেলানীর মতো কাউকে ঝুলে থাকতে দেখতে চাই না। এমন হত্যাকাণ্ড আর চাই না। যদি আজকের পর থেকে এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে তার বিচার করতে হবে।’
শনিবার বিকালে ঠাকুরগাঁও শহরের বড়মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘যদি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ নির্বাচনে ভূমিকা রাখেন, তাহলে কেন অবৈধভাবে সীমান্তের দিকে ঝুঁকতে হবে। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগে নির্দিষ্ট একটি মার্কা অর্থাৎ নৌকা মার্কায় নিজেকে ফিক্সড করে রাখায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে আপনাদের মূল্য কমে গিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সারাজীবন ধরে শুধু নৌকায় ভোট দেওয়াটা সংখ্যালঘু ভাইবোনদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। তারা এমন দুর্বলতা নিজেরাই সৃষ্টি করেছেন। কোনো কিছু না ভেবে শুধু একটি মার্কায় ভোট দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবাদ করে থেমে থাকলে হবে না। নতুন রূপে স্বৈরাচারের আবির্ভাব ঘটবে। তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
পঞ্চগড় আটোয়ারীর সন্তান সারজিস আলম আক্ষেপ করে বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে মামলা মামলা খেলা চলছে। টাকা দিলে নাম কাটা পড়ছে।’ তিনি দুঃখ করে বলেন, ‘তাহলে কি হলো এত রক্ত ঝরিয়ে, বৈষম্য বিরোধী এই আন্দোলন করে। এসব বন্ধ করতে হবে, তা না করলে ছাত্র জনতা আরও আন্দোলন বেগবান করবে।’
ঠাকুরগাঁওয়ে দুই আসনে মেম্বার থেকে সংসদ সদস্য একই পরিবারের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দবিরুল এমপি তার এলাকায় পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছেন। সব জায়গায় তার পরিবারের সদস্য। এসব করেই জায়গা-জমি দখল করে নিয়েছেন।’
সারজিস আলম বলেন, ‘দেশে যা কিছু হবে ছাত্র-জনতার রায়ের মাধ্যমে হবে। সব জায়গায় টাকা দিতে হয়। টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এসব আর করতে দেওয়া হবে না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সজিব ভূঁইয়া, জহির রায়হান, আবু সাঈদ স্বপনসহ স্থানীয় ছাত্র-জনতা।