ভাইকে উদ্ধার করতে গিয়ে সংঘর্ষে প্রাণ গেল বড় ভাইয়ের
যুগান্তর প্রতিবেদক (ঢাকা উত্তর)
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ পিএম
প্রতীকী ছবি
আশুলিয়ায় মারধর করে আটকে রাখা ছোট ভাইকে উদ্ধার করতে গিয়ে সংঘর্ষে বড় ভাই প্রাণ হারিয়েছেন।নিহতের নাম সুলাইমান।পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
শনিবার দুপুরে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর কাঁঠালবাগান বালু মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুলাইমান নীলফামারীর জেলার ডিমলা থানার দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার ডেন্ডাবর কাঁঠালবাগান কামালের বাড়িতে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। সুলাইমান ডেন্ডাবর এলাকার আব্দুল্লাহ আল রাহাত ফেব্রিক্স নামের একটি কারখানায় কাজ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকালে কয়েকজন মিলে বালু মাঠে খেলছিলেন। সেখানে সেলিম নামের একজন ছিল। তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে সেলিমকে মারধর করে আটকে রাখে কয়েকজন।খবর পেয়ে সেলিমের বড় ভাই সুলাইমান আরও কয়েকজনকে নিয়ে খেলার মাঠে উপস্থিত হন। এ সময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হলে সুলাইমান গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত সুলাইমানের বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, সন্ধ্যায় ছোট ছেলে সেলিমকে মারধর করেছে এলাকার কিশোর গ্যাং সদস্যরা। খবর পেয়ে সুলাইমান সেখানে যায়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সুলাইমানের ওপরও হামলা চালায়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে বাসার পাশে একটি কারখানায় কাজ করতো। কোনো ধরনের আড্ডা ও গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল না। ওখানে আরিফ, রিয়ান, সজীব, জীবন, সুহান, রাজন, জিতু পারভেজ, ইয়াছিন, তামিম, কাউছার, আমিন অপূর্বসহ আরও কয়েকজন সুলাইমানের ওপর হামলা করে। তারা কোনো কারণ ছাড়াই সুলাইমানকে পিটিয়ে মেরেছে। তাদেরকে এখনও পুলিশ গ্রেফতার করেনি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন বলেন, মরদেহ ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই-বাছাই করে খুব দ্রুতই তাদের (অভিযুক্তদের) গ্রেফতার করা হবে।