Logo
Logo
×

সারাদেশ

গাজীপুরে পোশাক কারখানায় কার্যক্রম স্বাভাবিক

Icon

গাজীপুর দক্ষিণ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম

গাজীপুরে পোশাক কারখানায় কার্যক্রম স্বাভাবিক

ছবি: যুগান্তর

গাজীপুরের পোশাক কারখানায় স্বাভাবিক উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে পোশাক কর্মীরা তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। 

এদিকে কারখানার নিরাপত্তা রক্ষায় নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী ছাড়াও শিল্প পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হলে সেনা সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করতে প্রস্তুত রয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে দু’একটি কারখানা বন্ধ থাকার খবর পাওয়া গেলেও শিল্প পুলিশ তা নিশ্চিত করেনি।

গত সপ্তাহে গাজীপুরের বেশ কয়েকটি কারখানায় বেতনভাতার দাবিতে বিক্ষোভ চলে। এতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে শিল্পনগরীতে। চলে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ। এতে কয়েকটি কারখানা সাধারণ ছুটি ও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে শনিবার সকাল থেকে কোথাও শ্রমিক অসন্তোষ ও কারখানা বন্ধের খবর পাওয়া যায়নি। 

টঙ্গীর পিনাকী লি. পোশাক কারখানার শ্রমিক মো. কালাম মোল্লা জানান, প্রতিমাসের বেতন ঠিকঠাক দিয়ে দিলে শ্রমিকরা উত্তেজনা বা আন্দোলন করে না। চলতি মাসে বেতন ভাতা দিতে একটু সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে আমরা সবাই কাজে যোগদান করেছি। 

রয়েল ফ্যাসনের মালিক রায়হান আহমেদ হৃদয় জানান, গত কয়েক দিন আমার প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। তবুও দুই দিন আমার কারখানার সামনের গেটের কয়েকটি সিসি ক্যামেরা ভেঙে দিয়েছে বিক্ষোভ কারীরা। 

তিনি আরও জানান, আমার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের ছুটি না দেওয়ার কারণে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। সবশেষ রয়েল ফ্যাসনের শ্রমিকরা আন্দোলনে অংশ নেয়নি। তবে সামনের দিনগুলোতে সেনাবাহিনীর টহল আরও বাড়াতে হবে।  

গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার স্টাইলিশ গার্মেন্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, শনিবার সকাল থেকে প্রচুর শ্রমিক কাজে যোগদান করেছেন। শ্রমিকরা সারাদিন নিজ নিজ কর্মস্থলে কাজে ব্যস্ত রয়েছে৷ শ্রমিকদের কাজের উৎসাহ দিতে বিনোদন হিসেবে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবস্থা করেছি। 

গাজীপুর শিল্প পুলিশের এসপি মোহাম্মদ সারওয়ার আলম জানান, গাজীপুরে শিল্পকারখানায় উৎপাদন কার্যকম স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন করে কোথাও শ্রমিক অসন্তোষের কোনো খবর আসেনি। 

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের তথ্যমতে, পুরো জেলায় সব মিলিয়ে নিবন্ধিত কারখানা রয়েছে ২ হাজার ৬৩৩টি। এর বাইরে অনিবন্ধিত কারখানা আছে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০টি। এসব কারখানায় শ্রমিক কাজ করেন প্রায় ২২ লাখ শ্রমিক ও কর্মচারী। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম