Logo
Logo
×

সারাদেশ

রামগঞ্জে খাল পরিষ্কার করল স্বেচ্ছাসেবীরা

Icon

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ এএম

রামগঞ্জে খাল পরিষ্কার করল স্বেচ্ছাসেবীরা

প্রায় ১২ বছর পর লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় প্রবাহিত বিরেন্দ্র খালের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে। ১৫ দিন ধরে দুই কিলোমিটার খাল স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নিজেদের অর্থে স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার করেছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা। এতে অংশ নিয়েছেন রামগঞ্জ ব্লাড ডোনারস ক্লাবসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।

গত ২৮ আগস্ট থেকে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ কার্যক্রম শুরু হলেও পুরোপুরি শেষ হতে আরও কয়েক দিন লাগবে বলে জানা যায়।

স্বেচ্ছাশ্রমের এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন রামগন্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন ইসলাম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খালটি সংস্কার না হওয়ায় ময়লা-আবর্জনা ও পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতাসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। স্বেচ্ছাসেবীরা এ উদ্যোগ নেওয়ার কারণে মানুষ নানাভাবে উপকৃত হবেন।

দীর্ঘদিন বর্জ্য জমে খালের পানিপ্রবাহ বন্ধ ছিল। এতে খালের ভেতর বাঁশের খুঁটি পুঁতে অবৈধ ঘর তুলেছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন। সামান্য বৃষ্টি হলেই খালের পাশে গড়ে ওঠা বাগানবাড়ি বস্তির ঘরগুলো ময়লা পানিতে ডুবে যায়। এবারের বন্যায় পুরো রামগঞ্জ উপজেলা ডুবে যায়। গত বুধবার গিয়ে দেখা যায়, ময়লা অনেকটা পরিষ্কার করায় পানিপ্রবাহ বেড়েছে, তবে খাল থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক হয়ে এলে দুর্গন্ধ কমে আসবে বলে জানান স্বেচ্ছাসেবীরা।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও তরুণ-যুবকদের এমন কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

তারা জানান, স্বেচ্ছাসেবীদের এমন উদ্যোগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘদিন ধরে খালপাড়ে ব্যবসা করছেন সাইফুল ইসলাম ও মাহবুব রহমান। তারা জানান, খালটি রামগঞ্জ পৌর শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। এক সময় খালের পানিতে সব বয়সি মানুষেরা গোসল করতেন। ঘরের কাজেও খালের পানি ব্যবহার করা যেত। খালে ছোট-বড় অনেক নৌকাও চলাচল করত। কিন্তু দেড় যুগের বেশি সময় ধরে দখল ও দূষণের কারণে ঐতিহ্যবাহী খালটি এখন নালায় পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধের কারণে খালের কাছে দাঁড়ানো যায় না। স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্যোগে খালের প্রাণ আবার ফিরে আসতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

খাল সংস্কারের কাজে অংশ নেওয়া রামগঞ্জ ব্লাড ডোনারস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সাংবাদিক মাহমুদ ফারুক জানান, প্রায় ১২ বছরের বেশি সময় ধরে খালটি সংস্কার করা হয়নি। ময়লা-আবর্জনায় খালে পানি আটকে এবারের বন্যায় অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়েছিলেন। আমরা গ্রামের যুবকেরা প্রাথমিকভাবে সংস্কারকাজ শুরু করছি। এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র) সংগ্রহ করে, এটি পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, সবাই এর সুফল পাবেন।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম