পুলিশের উপস্থিতিতে মামলার বাদীপক্ষকে মারধরের অভিযোগ
কুড়িগ্রাম ও চিলমারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪৩ এএম
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মামলার তদন্তে গিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতেই বাদী পক্ষের মহিলার গায়ের কাপড় ছিঁড়ে ফেলাসহ আরও দুজনকে বিবাদীপক্ষের লোকজন মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বিবাদী পক্ষের দাবি উল্টো তাদের বাড়িতে হামলা করেছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের পুটিমারী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
ঘটনার বিবরণ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর জেলে সম্প্রদায়ের নিকট চাঁদা দাবি করাকে ঘিরে ওই এলাকার রামচন্দ্র দাস স্থানীয় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে চিলমারী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন রাম চন্দ্র দাস। শুক্রবার সকালে চিলমারী মডেল থানার ওসি প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ওই এলাকায় যান মামলার তদন্তে।
ঘটনাস্থলে বাদী-বিবাদী সবাইই উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ে পুলিশ মামলার তদন্ত সময় মামলার আসামি ফুলমিয়া এবং আসামি মাসুদের মা ও বোন বাদীপক্ষের রাম চন্দ্র দাসের স্ত্রী চম্পা রানী, ইদ্রানী, লক্ষ্মীকে মারধর করেন।
ভুক্তভোগী জেলে রাম চন্দ্র দাস বলেন, ওসি স্যার আসছেন মামলা তদন্ত করতে, তদন্ত করে বলছেন অভিযোগের তেমন কিছু নাই। একথা বলার পর বিবাদী পক্ষের লোকজন আমার পরিবারের উপর হামলা করে। আমার স্ত্রীর কাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিবাদীপক্ষের মিলন মিয়া বলেন, আমাদের লোকজন কোনো মারধর করেনি। বরং রাম চন্দ্রের পরিবার নিজের কাপড় নিজে ছিঁড়ে ফেলেছে। উল্টো আমার বাড়িতে হামলা করেছে। এসে দেখে যান।
চিলমারী মডেল থানার ওসি প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, মামলার তদন্তে গিয়েছিলাম, আমাদের সামনে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওখানে এলাকার অনেক গণ্যমান্য লোকজন ছিলেন।
উল্লেখ, উপজেলার পুটিমারী কাজলডাঙ্গা এলাকার জেলে সম্প্রদায়ের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি,বিনামূল্যে মাছ নেওয়াসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে একই এলাকার কতিপয় যুবক। বর্তমানে জেলে সম্প্রদায়ের রাম চন্দ্র দাসের নিকট ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা। নিরুপায় হয়ে রাম চন্দ্র দাস বাদী হয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর চিলমারী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- ওই এলাকার মিলন মিয়া (৪০), নয়ন মিয়া (৩৭), মাসুদ মিয়া (৩০), সুমন মিয়া (৩৫)। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ পাঁচজন রয়েছেন।