
প্রিন্ট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৯:১২ পিএম
কক্সবাজারে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড, বিপাকে পর্যটকরা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম

আরও পড়ুন
কক্সবাজারে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। এতে করে শহর এবং সৈকতের পাশের বেশির বাগ হোটেলের নিচতলায় পানি ঢুকে পড়েছে। রাস্তায় যানচলাচল অনেকটা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে বহু পর্যটক।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বৃষ্টিপাতের এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এমন বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস। গত বুধবার থেকে এই সমুদ্র নগরীতে বৃষ্টি হচ্ছে। আরও দুইদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসে কক্সবাজারে পৃথক ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি, বাকি তিনজন রোহিঙ্গা। পাহাড়ের পাদদেশে থাকা ব্যক্তিদের সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
এছাড়া, জেলার শতাধিক জনপদ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সেই সঙ্গে পাহাড়ি ঢল ও পানি প্রবেশ করে বেশ কিছু গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পানি ঢুকে পড়েছে মোটেল জোনের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, গেস্ট হাউজ, কটেজ, রেস্টুরেন্টসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এছাড়া শহরের নিম্নাঞ্চল সমিতি পাড়া, নাজিরারটেক, কুতুবদিয়া পাড়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে। সদরের ঝিলংজা, উপজেলা গেইট, বাংলাবাজার, মোক্তারকুল, ডিককুল এবং পিএমখালীর নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে।
এছাড়া রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি, খুনিয়া পালং, উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং , জালিয়া পালং, রত্না পালং রাজাপালং ও পালংখালী ইউনিয়নে অন্তত ৪০ গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার আমন চাষাবাদ, ফসল ও পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তীব্র ঝড়ো বাতাসে কাঁচা ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে পড়েছে।
এদিকে কক্সবাজার সদরের ঝিলংঝা পাহাড় ধসে দুই পরিবারের মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে এক পরিবারের তিনজন বাংলাদেশি এবং অপর পরিবারের তিনজন রোহিঙ্গা। এছাড়া পাহাড় ধসের ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।