Logo
Logo
×

সারাদেশ

বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে ছেলে

Icon

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪০ পিএম

বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে ছেলে

জন্মদাতা পিতা আক্তার হোসেনকে (৫৮) কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে ছেলে সাকিব হোসেন (২৫)। পারিবারিক কলহের জেরে এমন জঘন্য কাণ্ড ঘটেছে বলে নিহতের পরিবার দাবি করেছে।

বুধবার রাতের কোনো এক সময় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের সরদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার সকালে হত্যাকাণ্ডের শিকার আকতার হোসেনের (৫৮) মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ঘাতক সাবিক পলাতক রয়েছেন।

নিহতের স্ত্রী তাছলিমা বেগম বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্য আটজন। এর মধ্যে ছেলে সাকিব ও তার স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার ফারহানা রয়েছেন। ছেলে সংসার খরচ দেয় মাসে এক হাজার টাকা। এসব নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ছেলেকে বকা দেন তার বাবা। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। সেই সময় আমার বকাঝকার পর ছেলে শান্ত হয়ে চলে যায়। এরপর থেকে আর কোনো ঝামেলা নেই। এরই মধ্যে ছেলের বউ (সাকিবের স্ত্রী ফারহানা) তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারপর থেকে ছেলে নিজ বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে থাকা শুরু করে।

তিনি বলেন, বুধবার রাতে ফের বাবা-ছেলের মাঝে ঝগড়া হলেও পরে আবার থেমে যায়। এরপর আমি এক আত্মীয়কে দেখতে বাজারের একটি হাসপাতালে যাই। রাত ১২টার দিকে আমার শাশুড়ি, আমার অন্য ছেলে ও মেয়েরা ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ করে আমার স্বামীর চিৎকার শুনে তারা ঘুম থেকে জেগে ওঠে দেখে সাকিব ঘর থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। পরে তারা তাদের বাবাকে (আক্তার হোসেন) নিয়ে হাসপাতাল চলে যায়; সেখান থেকে কুমিল্লা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ছেলে যখন বাবাকে কুপিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় তা দেখেছে আমার মেয়ে। মেয়েই ফোন করে তাড়াতাড়ি বাড়িতে আসতে জানায় আমাকে। এ ঘটনায় আমার ছেলের বউ (ফারহানা) জড়িত। সে আমার ছেলের মাথা খারাপ করে ফেলেছে। আমি আমার স্বামী হত্যায় ছেলে ও ছেলের বউয়ের বিচার চাই।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মাওলা নঈম জানান, আহত আক্তার হোসেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লায় রেফার করা হয়। পরে শুনেছি কুমিল্লা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে আমরা জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম