Logo
Logo
×

সারাদেশ

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিকারীরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর

Icon

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ এএম

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিকারীরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যারা সৃষ্টি করবে তারাই ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেছেন, আমরা চাচ্ছি গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার করতে। এতদিন বিচার বিভাগ স্বাধীন ছিল না, এইভাবে দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্র ও জনগনের জন্যে কাজ করবে। কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে নয়। সেইভাবে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। আমাদের মধ্যে যে সম্প্রতি রয়েছে, অনেকেই চাইবে সেই সম্প্রতি ভেঙে দিতে। জাতীয় স্বার্থে আমরা যেমন একঅভিন্ন তা প্রমাণ করেছি, সামনেও তা প্রমান করতে হবে। এর মধ্যে যারা দাঙ্গা সৃষ্টি করবে তারাই ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হবে এবং আমাদের সম্প্রতি টিকিয়ে রাখতে হবে। এই হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের মানবিক মর্যাদা কেড়ে নিয়েছিল তা ফিরিয়ে আনতে হবে।

বুধবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ছাত্র-জনতার মৈত্রী সফর উপলক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের হাতে অস্ত্র ছিল না, গুলি ছিল না। আমাদের কাছে ছিল স্লোগান, আর বুক ভরা সাহস। তারা গুলি করেছে আমরা বুক পেতে দিয়েছি। এরমধ্যেই কিন্তু খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ছাত্রজনতা এক থাকলে দেশের যে কোন সংকট মোকাবিলা সম্ভব। আমাদের লক্ষ শুধু ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন নয়। বরং এই ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে ব্যবস্থা চালু করে গেছে এর বিপুল নিশ্চিত করা। বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গা থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ধূসরকে উৎখাত করা। কোনো ফ্যাসিস্ট ধূসরদের জায়গা এই বাংলাদেশে হবে না। এই গণঅভ্যুত্থানের পর অনেকেই মেনে নিতে পারেনি, অনেকের অন্তর জ্বালা শুরু হয়ে গেছে। তারা দেশে ও দেশের বাহিরে বসে আমাদের দেশে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে।

হাসিব বলেন, এই বিপ্লবের পরে তারা বলে উঠেছে বাংলাদেশে নাকি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হয়। কিন্তু আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি এই দেশ একটি সম্প্রতির বাংলাদেশ। এই দেশের সনাতনী ভাই-বোনেরা তাদের পূজা উৎসবের টাকা বন্যারর্তদের জন্য পাঠিয়েছিল আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মধ্যেমে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে গণত্রাণ কর্মসূচিতে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই কাজ করেছিল। এটা বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ সম্প্রতির বাংলাদেশ।বাংলাদেশ সৌহার্দের বাংলাদেশ। বিদেশে বসে যদি কেউ ষড়যন্ত্র করে, জনতা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। যখন তারা বাঁধ খুলে দিয়েছে তখন তারা কি হিন্দু-মুসলিম দেখেছে?। যখন বর্ডারে তারা গুলি করে তখন তারা কি ধর্মীও পরিচয় দেখে। স্বর্ণা দাসকে যে গুলি করেছে, তখন কি পরিচয় দেখেছে। তারা আমাদেরকে বন্ধু রাষ্ট্র দেখে, আমরাও চাই বন্ধু হোক।কিন্তু এতদিন ধরে তারা যে আধিপত্ব করেছে, সেই আধিপত্ব আর চলতে দেয়া যাবে না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব এর সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন আশরাফুল আলম আলী, মোছাম্মৎ ছারা প্রমুখ। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির সমন্বয়ক লিপটন আলী, আদনান খান ঢাবি, হাফিজুল ইসলাম, সহ-সমন্বয়ক আমিরুল ইসলাম জীবন, আলী আব্বাস শাহীন, দেলোয়ার হোসাইন, জান্নাত তাবাসসুম, মোহাম্মদ শাকিল। ঢাবির প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন, আসিফ হোসেন, আফরাজ আল মাহমুদ, হেলাল নবীসহ মৌলভীবাজারের নেতৃৃবৃন্দরা।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম