Logo
Logo
×

সারাদেশ

টঙ্গীতে তিন কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ অবরোধ সংঘর্ষ

Icon

টঙ্গী শিল্পাঞ্চল (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ পিএম

টঙ্গীতে তিন কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ অবরোধ সংঘর্ষ

গার্মেন্টস কর্মী হামলা

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিভিন্ন দাবিতে তিন কারখানার শ্রমিকরা শাখা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে পার্শ্ববর্তী আরও তিনটি কারখানার কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ছুটি ঘোষণা করে।

বিক্ষোভকালে বহিরাগত শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানা শ্রমিকদের সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১১ সেপ্টম্বর) এসব ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, সকাল ৮টা থেকে স্থানীয় তিস্তারগেট এলাকার হক অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের সহস্রাধিক শ্রমিক কারখানার সিইও আফতাব উদ্দিনের পদত্যাগ, বেতন বৃদ্ধি, বৈষম্য দূরীকরণসহ ১০ দফা দাবিতে উৎপাদন কাজ বন্ধ করে কারখানার সামনে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। 

পরে ওই শ্রমিকেরা পাশ্ববর্তী মেঘনা রোডে গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেইজ লিমিটেড, ব্রাভো অ্যাপারেলস লিমিটেড ও পিনাকী গার্মেন্টসের সামনে জড়ো হয়ে কারখানা শ্রমিকদের নিচে নামতে হইহুল্লোড় করে কারখানার গেটে ও জানালায় ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। 

এ সময় শ্রমিকদের তোপের মুখে গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেইজ লিমিটেড, ব্রাভো অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানাদ্বয় এক দিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করলে এ দুটি কারখানার শ্রমিকরা নিজ নিজ বাসায় চলে যান। পরে হক অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিকরা তাদের নিজেদের কারখানার সামনে গেলে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবিগুলো মেনে নেয়। 

এদিকে চেরাগআলী এলাকার ড্রেসম্যান ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড সস্র্রাধিক শ্রমিক সার্ভিস বেনিফিট, হাজিরা বোনাস, নিয়োগে সমতা, দুই কর্মকর্তার পদত্যাগসহ ১৪ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সকাল ৯টা থেকে কারখানার সামনের সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। সাড়ে ১০টার দিকে এ কারখানার ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

অপরদিকে অ্যাডমিন ম্যানেজার কবিরসহ কয়েকজন কর্মকর্তার পদত্যাগ, শ্রমিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ না করা ও আন্দোলনরত শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত না করাসহ ১৫ দফা দাবিতে সকাল ৯টা থেকে আফতাব সিএনজি পাম্প সংলগ্ন যমুনা অ্যাপারেলসের শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। পরে তাদের দাবি মেনে নিয়ে একদিনের জন্য কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

একই এলাকার পিনাকী গার্মেন্টসে শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। বেলা ১২টার দিকে ওই সব গার্মেন্টসের কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক গার্মেন্টস কারখানাটি বন্ধ করতে গেলে বহিরাগত শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। 

এ সময় পিনাকী গার্মেন্টসের শরিফুল ইসলাম, রানা, নাইম ও অন্ত:সত্ত্বা কুলসুমসহ অন্তত ৮ শ্রমিক আহত হন। তারা টঙ্গী শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। 

যমুনা অ্যাপারেলসের মালিক রাকিব সাজ্জাদ বলেন, শ্রমিকদের দাবিগুলোর সমাধান করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে পিনাকী অ্যাপারেলসের সিইও মাহাবুব, গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেজ লিমিটেডের জিএম সুজন মিয়া, হক গ্রুপের সিইও আফতাব উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। 

গাজীপুর শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ড্রেসম্যান কারখানার শ্রমিকদের দাবিগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কারখানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম