চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে চলন্ত বাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় দুই চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর তাদের আদালতে নেওয়া হলে বুধবার তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

আটকরা হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মো. ছৈয়দুল হকের পুত্র হেলপার সাহেদুল ইসলাম মিজান ও পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের মৃত হাশেম খানের ছেলে ড্রাইভার মো. আজাদ খান প্রকাশ রানা।

গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে মইজ্জ্যারটেক থেকে শাহ আমানত সেতুর উপরে গাড়ি চলন্ত অবস্থায় হত্যার ভয় দেখিয়ে গণধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী কর্ণফুলী থানায় হেলপার ও ড্রাইভারের নামে মামলা করেন।

কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান জানান, সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রিজ বাসস্ট্যান্ড থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূ রাত সাড়ে ৯টার সময় পটিয়ার মনসা বাদামতল এলাকা থেকে মিনিবাসে উঠে চট্টগ্রাম শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। বাসের অন্য যাত্রীরা সবাই মইজ্জ্যারটেক মোড়ে নেমে গেলে ওই গৃহবধূ বাসে একা হয়ে পড়েন। পরে বাসটি শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজা পার হতেই হেলপার মিজান চলন্ত গাড়িতে তাকে পেছনের সিটে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। বাসটি শাহ আমানত সেতু পার হয়ে আবারো নতুন ব্রিজের চত্বর ঘুরে নিয়ে যায়। এরপর গাড়ির ড্রাইভার ওই নারীকে ধর্ষণ করে; ওই গৃহবধূকে পটিয়ার শান্তিরহাট বাজারে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়।