Logo
Logo
×

সারাদেশ

পিতৃ-পরিচয় পেতে চান নার্সিং পড়ুয়া মেয়ে

Icon

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম

পিতৃ-পরিচয় পেতে চান নার্সিং পড়ুয়া মেয়ে

নওগাঁর নিয়ামতপুরে স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানের পিতৃ-পরিচয়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেতারা বেগম ও তার নার্সিং পড়ুয়া কন্যা বিথী খাতুন। বুধবার নিয়ামতপুর প্রেস ক্লাবের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মা সেতারা বেগম। তিনি উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের গন্ধশাইল এলাকার হুজ্জোতুল্লাহ বকুলের দ্বিতীয় স্ত্রী। এ সময় বিথী খাতুন নামের তাদের একমাত্র কন্যা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে সেতারা বেগম বলেন, প্রায় ২৪ বছর আগে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে হুজ্জোতুল্লাহ বকুলের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পরদিনই তিনি সৌদি আরবে চলে যান। ২০০৪ সালে সৌদি থেকে ফিরে এসে মেলামেশার কারণে আমার মেয়ে পেটে আসে। সন্তান নিতে অনীহা প্রকাশ করে নষ্টের জন্য চাপ দিতে থাকেন বকুল। এর মধ্যে জরুরি সংবাদ পেয়ে আবার কাজের জন্য তিনি ফিরে যান সৌদি আরবে।

পরবর্তীতে গর্ভের সন্তান নষ্ট না করায় তার বন্ধু রশিদুলকে দিয়ে নানা ধরনের হুমকি ও হয়রানি করেন। ২০০৫ সালে আমার মেয়ে দুনিয়ার আলো দেখে। এরপর আমাকে দুশ্চরিত্র প্রমাণের জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু করে। ২০০৬ সালে আমাকে ডিভোর্স দেন বকুল।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে নওগাঁ আদালতে নারী ও শিশু আইনে একটি মামলা করলে অর্থনৈতিকভাবে সুবিধা ও আবারো স্ত্রী হিসেবে নেবেন বলে আশ্বাস দেন তাকে। ২০১১ সালে আমাকে কাজের জন্য লেবাননে পাঠিয়ে দেন। ৩ বছর পরে ফিরে এসে সন্তানের পিতৃ-পরিচয় দাবি করলে টালবাহানা শুরু করেন। নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে আবারো শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে সে। একপর্যায়ে গ্রামবাসী এমন সম্পর্ক ধরে ফেললে ২০২৩ সালে আবারো আমাকে বিয়ে করেন; কিন্তু আমার কন্যা সন্তানের পিতৃ-পরিচয় দিতে অনীহা প্রকাশ করে। শুধু তাই নয়, আমাকে ও মেয়েকে মেরে ফেলার জন্য তার পেটুয়া বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়। তারা বিভিন্ন সময় আমার বাবার বাড়িতে আক্রমণ করে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন; যা গ্রামবাসী ও ইউনিয়ন পরিষদের সবাই জানেন।

তিনি বক্তব্যে আরও বলেন, বর্তমানে আমার মেয়ের বয়স ১৭ বছর। সে ঝিনাইদহ সরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউটে প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করে। পিতৃ-পরিচয় নিয়ে সেও একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতে পড়েছে। তাই আমি আমার মেয়ের পিতৃ-পরিচয় ফিরে পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

মেয়ে বিথী খাতুন বলেন, এই স্বাধীন দেশে আমার বাবা নানা মিথ্যাচার করে চলছে। পিতৃ-পরিচয় না থাকা যে কতটা কষ্টের তা বলে বোঝানো যাবে না। পদে পদে আমি নানান বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছি। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে পিতৃ পরিচয়ের দাবি করছি।

বিষয়টি নিয়ে হুজ্জোতুল্লাহ বকুল বলেন, ওদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তারা আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম