তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ফের বিয়ের কথা বলে পুলিশ সদস্যের ধর্ষণ
যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
তালাক দেওয়া স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী। বুধবার সকালে ওই নারী বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনার ডিবি প্রধানকে সাত দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামি হলেন পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার বড় বালিয়াতলী গ্রামের নোয়াব মিয়ার ছেলে মো. সিহাব পারভেজ। সিহাব পারভেজ বর্তমানে বরগুনা পুলিশ লাইনসে কনস্টেবল পদে কর্মরত।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান।
জানা যায়, ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিলে বরগুনা পৌরসভার বাসিন্দা ওই ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে সিহাবের বিয়ে হয়। আসামির সঙ্গে বাদীর মনোমালিন্য সৃষ্টি হলে চলতি বছর ৬ জুন তালাক হয়। তালাকের পর সিহাব প্রায়ই বাদীকে ফোন দিয়ে তার ভুল স্বীকার করে এবং সময় পেলে বাদীর বাসায় যান। বাদীকে পুনরায় কাবিন দিয়ে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে চান।
এছাড়া বাদীকে সিহাব বলেন, আমাদের তালাক ইসলামি দৃষ্টিতে সঠিক হয়নি। আসামির এমন আচরণে বাদীও অনেকটা নমনীয় হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে আসামি বাদীর বাবার বাসায় আসেন। ওই সময় বাদীর বাসায় কেউ ছিল না। সিহাব বাদীকে পুনরায় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে চান। বাদী রাজি না হলে জোর করে ধর্ষণ করেন। সিহাব বাদীকে প্রতিশ্রুতি দেন পর দিন বিকালে নতুন কাবিন দেবেন। এ কথা বলে আসামি চলে যান। আসামি পরবর্তীতে বাদীকে বিয়ে না করে তার ফোন বন্ধ করে রাখেন।
বাদী বলেন, আমি আসামির বৈধ স্ত্রী না থাকা সত্ত্বেও আমাকে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করেছেন। আমি তাকে বিশ্বাস করতাম। তিনি আমার সঙ্গে প্রতারণা করবেন তা বুঝতে পারিনি। সিহাবের ফোনে এবং তার কর্মস্থলে গিয়েও তাকে পাইনি। সিহাব পারভেজের ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।