সিলেটের ওসমানীনগরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর পত্নী তাহসিনা রুশদী লুনার গাড়িতে হামলার ঘটনায় দেড় বছর পর ওসমানীনগর থানার সাবেক ওসি এসএম মাঈন উদ্দিনসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনার সময় বিএনপি নেত্রী ইলিয়াসপত্নী লুনাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হওয়া ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার ইউপির নিজ করনসী (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের মৃত মুজেফর বক্সের ছেলে মন্নান বক্স বাদী হয়ে সোমবার সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতে ৩১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২০-২২ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।

মামলার আইনজীবী আশিক উদ্দিন ও মামলার বাদী আব্দুল মান্নান বক্স এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমদ আম্বিয়া, কিবরিয়া মিয়া, কামরুল ইসলাম, লিলবর হোসেন, রিপন মিয়া, আমজাদ হোসেন, রুবেল আহমদ পংকি, মো. নজরুল মিয়া, মুকিদ মিয়া, শাকিল মিয়া, রাজন দেব, ইউপি সদস্য বেলাল আহমদ, মতিউর রহমান, হাবিব মিয়া, জাবেদ মিয়া, নাহিদ মিয়া, কওছর মিয়া, ফারুক আহমদ, রফু মিয়া (৩২), জামাল মিয়া, কনস্টেবল আশরাফুল ইসলাম, এলেক্স কাওছার, নয়ন মিয়া, খোকন মিয়া, হুমায়ুন আহমেদ, সালমান আহমদ মাছুম, শাহ আলমগীর, ইউসুফ হোসেন চৌধুরী, আব্দাল মিয়া, মিজু মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২২ জন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর বিকালে সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে প্রচারপত্র বিলিকালে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর পত্নী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদী লুনার গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইলিয়াসপত্নীর সঙ্গে থাকা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।