পাবনার চাটমোহরে টিসিবির তালিকা দেওয়া নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুইজন আহত হয়েছেন। 

আহতরা হলেন- উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক বোঁথর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে মোজাম্মেল হক ও পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে বিএনপি কর্মী জহুরুল ইসলাম। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের জন্য সম্প্রতি ৫১১টি টিসিবির কার্ড (সংশোধনী) বরাদ্দ হয়। কার্ডের তালিকা ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেওয়া হয়; কিন্তু এ তালিকা দেওয়া নিয়ে পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মহসিন আলী এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল করিম তারেকের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। 

বিষয়টি নিয়ে বুধবার সকালে দুইপক্ষই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানাতে এলে প্রথমে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুইপক্ষের লোকজন মিছিল করার সময় সংঘর্ষ বেধে যায়। মুহূর্তেই উপজেলা পরিষদের সামনে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে উপরোক্ত দুইজন আহত হলে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

জানতে চাইলে পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল করিম তারেক যুগান্তরকে বলেন, তালিকা নিয়ে যেন কোনো সমস্যা না হয় সেই কারণে ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিটিং করে তালিকা দেওয়া হয়েছে; কিন্তু সাবেক সভাপতি মহসিন আলী ও তার কতিপয় লোকজন আমার নামে বাজে ভাষায় স্লোগান দেয় এবং পরবর্তীতে ঝামেলা বাধায়।

পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মহসিন আলী যুগান্তরকে বলেন, টিসিবির কার্ডের তালিকা রবিউল করিম তারেক এককভাবে দিয়েছে। ইউনিয়নের প্রত্যেকটা জায়গাতেই সভাপতির কিছু লোক থাকে। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে বসেছিলাম। ইউএনও মহোদয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের জন্য বণ্টন করে দেন; কিন্তু সেটা মানেননি তিনি (রবিউল করিম তারেক)। দলের সাবেক সভাপতি হিসেবে যদি কিছু না-ই পাই তাহলে তো সমস্যা। হুট করে তিনি (তারেক) লোকজন নিয়ে এসে ঝামেলা বাধায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা যুগান্তরকে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা দলের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। দলীয় প্রধানের নির্দেশনা যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র বা জেলা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেবে।  

এ ব্যাপারে জানার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিমের মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।