ফেসবুকে স্ট্যাটাসের পর মিলল কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
বগুড়ার ধুনটে আঁখি ইসলাম (২০) নামে কলেজছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। স্বজনরা মঙ্গলবার রাতে ধুনট পৌরসভার পশ্চিম অফিসারপাড়া এলাকার বাড়ির নিজ শয়ন ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়নার ফাঁস ও খাটের সঙ্গে পা লাগানো মরদেহ উদ্ধার করেন। এর আগে তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন।
স্বজনদের ধারণা, শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রেমের বিয়ে মেনে না নেওয়া ও প্রেমিক স্বামীর ওপর অভিমান করে তিনি আত্মহননের পথ বেঁছে নেন।
ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান জানান, অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারকে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, আঁখি ইসলাম বগুড়ার ধুনট পৌরসভার পশ্চিম অফিসারপাড়ার আফতাব মণ্ডলের মেয়ে। তিনি বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
প্রায় ছয় মাস আগে গোপনে চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের বিশ্বহরিগাছা গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে প্রেমিক কলেজছাত্র রায়হান আলীকে বিয়ে করেন। জানাজানি হওয়ার পর তার পরিবার মেনে নিলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন রাজি হয়নি। এ নিয়ে আঁখির সঙ্গে রায়হানের মনোমালিন্য হয়। তিন দিন আগে রায়হান কলেজে ক্লাস করতে বগুড়া শহরে চলে যান। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শয়ন ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া ও খাটের সঙ্গে দুইপা লাগানো আঁখির মরদেহ ঝুলতে দেখা যায়। পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ নামিয়ে আনেন। খবর পেয়ে ধুনট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এদিকে আত্মহত্যার একদিন আগে তিনি ফেসবুক পেজে ‘রাগ আর ত্যাড়ামি বিক্রি করা গেলে আজ আমি কোটিপতি থাকতাম’, ‘ক্ষমা করলাম না আমি তাকে, কারণ আমি একা জাহান্নামে যেতে চাই না, তাকে সঙ্গে নিয়েই যাব’ এবং ‘আমার শুধু নিজের জন্য দুঃখ হয়, নিজের মাথার ওপর হাত রাখতে ইচ্ছা হয়। নিজের জন্য মায়া হয়। নিজের জন্য চোখে পানি চলে আসে’ পোস্ট দেন। আঁখির আত্মহত্যার ব্যাপারে মা মরিয়ম খাতুন কোনো মন্তব্য করতে পারেননি।
ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান জানান, প্রেমের বিয়ে নিয়ে অভিমানে ওই কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।