Logo
Logo
×

সারাদেশ

যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর বিশ্বনাথ প্রতিনিধিকে হুমকি

Icon

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ এএম

যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর বিশ্বনাথ প্রতিনিধিকে হুমকি

দৈনিক যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর সিলেটের বিশ্বনাথ প্রতিনিধি আশিক আলীর ওপর মামলা করার হুমকি দিয়েছেন শাকিল আহমেদ নোমান নামের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) নিরাপত্তাকর্মী। 

সোমবার দুপুর ১২টায় শাকিল আহমদ নোমান তার মোবাইল নম্বর (০১৭৪৪-৬৮৮৪৮১) থেকে দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি আশিক আলীর মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে হুমকি দেন। এছাড়া গালিগালাজও করেন।

গত রোববার দৈনিক যুগান্তরের ১২তম পাতায় ‘গার্ড শাকিল পেতেন বেতনের অর্ধেক, শাবিতে অর্থের বিনিময়ে নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি’ শিরোনামে শাবির ওই গার্ড শাকিল আহমদ নোমানের নামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। আর এ সংবাদ প্রকাশের পর তিনি বিশ্বনাথ প্রতিনিধি আশিক আলীর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন।

প্রকাশিক সংবাদটি হলো- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) অর্থের বিনিময়ে নিরাপত্তাকর্মী পদে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে অনেকটা প্রভাব দেখিয়ে এমন কাজ করতেন সিলেটের বিশ্বনাথের শাকিল আহমদ নোমান নামের নিরাপত্তাকর্মী। তার বাড়ি বিশ্বনাথের রামপাশা ইউনিয়নের রামপাশা উত্তরপাড়া গ্রামে। চাকরি দেওয়ার পর এসব নিরাপত্তাকর্মীকে তাদের বেতনের অর্ধেক টাকা তাকে দিতে হতো বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এভাবে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে প্রভাব খাটিয়ে গত এক যুগ ধরে শাবিপ্রবিতে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন শাকিল আহমেদ নোমান।

জানা গেছে, শাকিলের বাবা ফয়েজ উল্লাও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি করতেন। সেই প্রভাবে প্রথমে শাবিপ্রবির সোনালী ব্যাংকের অস্থায়ী পিয়ন হিসেবে চাকরি পান শাকিল। ২০২১ সালের ২ মার্চ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রভাব খাটিয়ে শাবিপ্রবির নিরাপত্তা শাখায় চাকরি পান শাকিল। একপর্যায়ে চাকরি বাণিজ্যের পথ বেছে নেন তিনি। 

২০২১ সালে নিজ এলাকার ফয়সাল আহমদ, আব্দুর রহিম, খসরু মিয়া ও সুয়েব আহমদ নামের চারজনকে টাকার বিনিময়ে অস্থায়ী নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি দিয়েছেন শাকিল। 

ওই ৪ নিরাপত্তাকর্মীর একজন বলেন, তাদের সঙ্গে ৯৬ জন যুবক নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি করেন। তাদের মাসিক বেতনের অর্ধেক দিতে হতো নিরাপত্তাকর্মী শাকিল আহমদকে। ওই সিন্ডিকেটে শাকিলের সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত আছেন। এর প্রতিবাদ করলে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়।

সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে অপহরণ করেন শাকিল আহমেদ নোমানসহ কয়েকজন। 

এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম জানান, সরকার পতনের পর সিকিউরিটি গার্ড শাকিল আহমেদ আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও হয়রানি করেছেন। 

তবে শাকিল আহমেদ নোমান বলেন, আমার কোনো বক্তব্য নেই, আপনার যা ইচ্ছা তাই করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম