Logo
Logo
×

সারাদেশ

বন্যার্তদের ত্রাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দুই নেতার বিরুদ্ধে

Icon

যশোর ব্যুরো

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৩ পিএম

বন্যার্তদের ত্রাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দুই নেতার বিরুদ্ধে

বন্যার্তদের উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করা ত্রাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা যুবদলের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে। উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এখলাচ হোসেন এবং সদস্য সচিব বিল্লাল বিশ্বাস বন্যার্তদের জন্য সংগৃহীত অর্থের দুই-তৃতীয়াংশ তারা আত্মসাৎ করেছেন।

এ বিষয়ে সংগঠনের সাবেক ১৮ জন নেতার স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত ৮ সেপ্টেম্বর জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তার একটি কপি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। অবশ্য অভিযুক্ত দুই যুবদল নেতা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সাবেক ১৮ নেতা স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘোষিত কর্মসূচির আওতায় বাঘারপাড়া উপজেলা যুবদল এবং উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ সমন্বয়ে সভা হয়। বন্যার্তদের সাহায্যে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে ১০ হাজার টাকা করে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এখলাচ হোসেন এবং সদস্য সচিব বিল্লাল বিশ্বাসের কাছে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মোতাবেক উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়ন সাড়ে তিন হাজার, বন্দবিলা ১০ হাজার, রায়পুর সাড়ে সাত হাজার, নারিকেলবাড়ীয়া সাত হাজার, ধলগ্রাম ১০ হাজার, দোহাকুলা ছয় হাজার, দরাজহাট ১০ হাজার, বাসুয়াড়ী ১০ হাজার, জামদিয়া ছয় হাজার ৪০০ টাকা দেয়। সর্বমোট ৭০ হাজার ৪০০ টাকা সংগ্রহ করে যুবদলের দুই নেতার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অভিযোগকারীদের দাবি, ওই টাকা থেকে যশোর জেলা যুবদল ফান্ডে মাত্র ১০ হাজার টাকা এবং বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির ফান্ডে ১৫ হাজার টাকা, সর্বমোট ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৪৫ হাজার ৪০০ টাকার কোনো হদিস নেই। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় দরাজহাট ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আল রুবায়েত শামীমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

তবে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব বিল্লাল বিশ্বাস দাবি করেছেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। সাবেক ওই নেতারা ভুল তথ্য সরবরাহ করেছেন। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, জেলা যুবদল নেতারা আমাদের তাগাদা দেন দ্রুত অর্থ ফান্ডে জমা দিতে। আমরা তাৎক্ষণিক ২৫ হাজার টাকার মধ্যে ১০ হাজার জেলা যুবদল এবং ১৫ হাজার টাকা উপজেলা বিএনপিকে দেই। এরপর টাকা আস্তে আস্তে ওঠে এবং তা ৬০ হাজারের বেশি না। এর মধ্যে উপজেলা বিএনপিকে ফের ১৫ হাজার টাকা এবং ৭ সেপ্টেম্বর দলের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কিছু খরচ হয়েছে। এসব বিষয়ে দলের নেতা এবং জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করা হয়।

এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহম্মেদ জানান, আমরা এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি প্রথমে তদন্ত করা হবে। তদন্তে যেটা উঠে আসবে সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম