Logo
Logo
×

সারাদেশ

ত্রাণ তহবিলে আপেলের দেওয়া ১০ লাখ টাকা ফেরত দিল বিএনপি

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম

ত্রাণ তহবিলে আপেলের দেওয়া ১০ লাখ টাকা ফেরত দিল বিএনপি

জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরফাতুর রহমান আপেল (ডানে লাল চিহ্নিত)

বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরফাতুর রহমান আপেলের দেওয়া ১০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটি। কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ত্রাণ ও কেন্দ্রীয় পুনর্বাসন কমিটির সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীর চিঠিতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় বগুড়ায় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এবং সাধারণ জনগণের মাঝে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ফোন না ধরায় এসব ব্যাপারে আপেলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত রোববার স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আরফাতুর রহমান আপেলকে ব্যবসায়ী উল্লেখ করে বলা হয়েছে- বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটির তহবিলে ১০ লাখ টাকা প্রদান করেছেন। আপনার সামাজিক সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে অজ্ঞতাবশত তা গ্রহণ করা হয়েছিল; যা ত্রাণ সংগ্রহের নীতিমালার পরিপন্থি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ত্রাণ তহবিলে আপনার দেওয়া ১০ লাখ টাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটি ফেরত দিচ্ছে।

বগুড়া জেলা যুবদলের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গত ২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারির কমিটিতে সিপার আল বখতিয়ার সভাপতি, আরফাতুর রহমান আপেল সাধারণ সম্পাদক ও খাদেমুল ইসলাম খাদেম সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিষ্ক্রিয়তা এবং ওই সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতায় দায়িত্বশীলরা ক্ষুব্ধ হন। ২০১৮ সালে তিনি যুবদল থেকে বাদ পড়েন। আপেল জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকায় চলে যাওয়ায় বগুড়ার রাজনীতিতে তাকে দেখা যায়নি।

নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জেলা যুবদলের নেতারা বলেন, আরফাতুর রহমান আপেল ছাত্রদল বা তৃণমূল রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। গ্রিলের ব্যবসা করতেন। গত ২০১০ সালের ২৯ জুলাই কেএম খায়রুল বাশারের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হন। সিপার আল বখতিয়ারের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর তাকে আর পেছনে ফিরে দেখতে হয়নি। নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আন্দোলনের সময় নিষ্ক্রিয় ছিলেন। ঢাকায় ফিরে সুদ ও জমির ব্যবসা শুরু করে কোটিপতি বনে যান। বনানী ক্লাবের পরিচালক হওয়ার সুবাদে সেখানে বিএনপির ক্ষতিকারক সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক ডিআইজি সিপার এবং আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ও বিতর্কিতদের সঙ্গে উঠাবসা করেছেন। তাই অবৈধ টাকা থেকে বিএনপি ত্রাণ তহবিলে দেওয়ায় তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল বাছেদ বলেন, এক সময় যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও আরফাতুরের সঙ্গে এখন দলের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার ওঠবস ছিল। তাদের সঙ্গে ছবি তুলে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিতেন। বিএনপির আদর্শের পরিপন্থি কাজে যুক্ত থাকায় ত্রাণ তহবিলে দেওয়া তার অর্থ ফেরত দেওয়া হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম