Logo
Logo
×

সারাদেশ

নৌপথে ট্রলারবোঝাই ভারতীয় কয়লা জব্দ!

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, সুনামগঞ্জ

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ পিএম

নৌপথে ট্রলারবোঝাই ভারতীয় কয়লা জব্দ!

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে নৌপথে সীমান্তের ওপার থেকে তিনটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারবোঝাই ভারতীয় কয়লা জব্দ করলেও বরাবরের মতো চোরাকারবারি চক্রের সন্ধান পায়নি বিজিবির টহল দল।

শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ২৮ বিজিবির সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বালিয়াঘাট বিওপির বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডারের নেতৃত্বে তিনটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারবোঝাই ভারতীয় চোরাচালানের কয়লার অবৈধ চালান জব্দ করা হয়।

রোববার বিজিবির দায়িত্বশীল সূত্র ওই তথ্য যুগান্তরকে নিশ্চিত করেন। এর পূর্বে উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট-লাকমা সীমান্ত গ্রামের একাধিক লোকজন জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে তাহিরপুরের বালিয়াঘাট বিওপির বিজিবি ক্যাম্পের রাতে সীমান্তে থাকা টহল দলের কিছু অসৎ সদস্যকে ম্যানেজ করে বিজিবির কথিত সোর্স উপজেলার লাকমা গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে  হোসেন মিয়া একাধিক চোরাকারবারি চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে প্রতি বস্তা কয়লার বিপরীতে ১৫০ টাকা হারে চাঁদা (সেটেল) আদায় করে ভারতীয় চোরাচালানের কয়লার লাইন (পাশ) দেয়।

এরপর শুল্ক ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত গ্রাম লালঘাট-লাকমার বিভিন্ন বাড়িতে মজুদকৃত কয়েক হাজার কয়লার বস্তা চুনখলার হাওড়ে রাখা একাধিক ইঞ্জিনচালিত ট্রলারবোঝাই করে বরাবরের মতোই গভীর রাতে নৌপথে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায় অন্যত্র বিক্রির উদ্দেশ্যে।
সীমান্ত গ্রামের স্থানীয় লোকজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাহিরপুরের বালিয়াঘাট বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার বিজিবি টহল দল নিয়ে সীমান্তের মেইন পিলার ১১৯৭ এর টু-এস সাব পিলার হতে প্রায় ৭০০ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে চুনখলার হাওর থেকে তিনটি ট্রলারবোঝাই প্রায় ৬ হাজার ৩০০ কেজি চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা অবৈধ কয়লার চালান জব্দ করেন।

শনিবার জব্দমুলে এসব ট্রলার ও চোরাচালানের কয়লার সরকারি মূল্য ২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করেন ক্যাম্প কমান্ডার।

এদিকে শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার লাকমা সীমান্ত গ্রামের বাসিন্দা ও বালিয়াঘাট বিওপির বিজিবির কথিত সোর্স হোসেন বিওপির গেটের বাহিরে অবস্থান নিয়ে কয়লা চোরাকারবারি চক্রের সদস্যদের সহায়তার জন্য জব্দকৃত ট্রলার তিনটি ছাড়িয়ে আনতে যায়।

জানতে চাইলে উপজেলার লাকমা সীমান্ত গ্রামের বাসিন্দা হোসেন নিজেকে স্বঘোষিত বালিয়াঘাট বিওপির বিজিবির সোর্স দাবি করে বলেন, আমি সব সময় দিনরাত বিজিবির টহল দলকে আমার মোটরসাইকেলেযোগে আনা-নেওয়া ও সোর্সের কাজ করি, গ্রামের লোকজনের চাপে পড়ে বিওপির গেটের বাহিরে গিয়েছিলাম ট্রলারগুলো ছাড়িয়ে আনতে।

এ বিষয়ে ২৮ বিজিবির সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বালিয়াঘাট বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আনোয়ার হোসেন বলেন, রাতে ট্রলারবোঝাই চোরাচালানের কয়লা আটকের সময় চোরাকারবারি চক্রের সদস্যদের কোনো সন্ধান পাইনি। শুক্রবার দিবাগত রাতে সীমান্তের লালঘাট লাকমায় নিয়মিত বিজিবির টহল দল থাকার পরও কিভাবে চোরাকারবারি চক্রের সদস্যরা একাধিক ট্রলারবোঝাই করে সীমান্তের ওপার ভারত থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা চোরাচালানের কয়লার চালান নৌপথে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল?

তিনি আরও বলেন, হোসেন আমাদের (বিজিবি) কোনো সোর্স না।

হোসেন শনিবার বিওপির গেটের বাহিরে অবস্থান করে জব্দকৃত তিনটি ট্রলার ছাড়িয়ে নিতে আসে- এমন এক প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে বিজিবির ওই ক্যাম্প কমান্ডার বলেন, কতজনই তো তদবির করতে বিজিবির কাছে আসে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম