Logo
Logo
×

সারাদেশ

ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলার আসামি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

Icon

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম

ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলার আসামি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমানসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া হত্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছাত্রনেতা জিয়াউর রহমান জিয়ার ভাই মো. তাইফুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে- কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. জিয়াউর রহমান জিয়া পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সদস্য ও প্রথমসারির নেতা ছিলেন। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে নেতৃত্ব দিতেন। 

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তৎকালীন সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম রাকিবুল আহসান, সাবেক মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদারসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হত্যার পরিকল্পনা করে ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর সকাল ১০টায় বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পাখীমারা বাজারের ব্যবসায়ী মো. হামিদুল খানের দোকানের সামনে রাস্তার উপর আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা দা, ছোরা, চাপাতি, জিআই পাইপ, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়াকে গুরুতর জখম করে। 

ওই সময় সন্ত্রাসীরা ১৭টি গরু, ১৬টি খাসিসহ ১১ লাখ টাকার মালামাল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। কলাপাড়া ও ঢাকায় চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে এলে সে মারা যায়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানোর উদ্যোগ নিলে ক্ষমতার দাপটে ময়নাতদন্ত করতে দেওয়া হয়নি। 

তাইফুর রহমান বাদী হয়ে তার ভাই জিয়াউর রহমান জিয়ার হত্যার বিচার দাবিতে কলাপাড়া থানায় ও কলাপাড়া উপজেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করতে গেলে ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাপটে মামলা দায়ের করতে পারেনি। ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে হাসিনা সরকারের পতন হওয়ায় বর্তমানে নিরপ্রেক্ষ সরকার থাকায় বিচারের দাবিতে মামলা দায়ের করেন।

বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন। 
এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলী আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মামলার অনুলিপি হাতে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম