বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে রাতের আঁধারে ইউনিয়ন ছাত্রদলের অফিস ভাঙচুর, সমাজ কল্যাণ অফিসে অগ্নিসংযোগ ও একটি দোকান লুট করেছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার চিংড়াখালী বাজারের দুই পাহারাদারকে বেঁধে রেখে এই ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুট করে মুখোশধারীরা। এ ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে শাস্তির দাবি করেছে ছাত্রদলের নেতারা।

চিংড়াখালী বাজারের পাহারাদার আকব্বর শেখ জানান, মতিন শিকদার ও আমি পাহারা দেওয়ার সময় শুত্রবার দিবাগত গভীর রাতে হঠাৎ করে কিছু মুখোশধারী লোক এসে আমাদের দুইজনকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে নিয়ে ঈদগাহ ময়দানে রেখে দেয়। ঘণ্টা দেড়েক পরে তারা চলে যায়। 

তিনি বলেন, এ সময় আমাদের চিৎকারে লোকজন আসে এবং মসজিদের মাইকেও ঘোষণা দেওয়া হয় যে বাজারে দুর্বৃত্তরা এসেছিল। পরে আমরা দেখতে পাই ছাত্রদলের অফিস ভাঙচুর ও সমাজকল্যাণ অফিসে আগুন দিয়েছে। আর নাইম ও সাইফুলের ইলেট্রিক্যাল-ইলেক্ট্রনিকস দোকান ভেঙে মালামাল লুট করেছে। তারা মুখোশ পরা থাকায় আমরা কাউকে চিনতে পারিনি।

চিংড়াখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য মো. মুন্না জানান, আমরা ধারণা করছি আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এই ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক এইচ এম নাইম রেজা উজ্জ্বল জানান, কিছুদিন আগে আমরা এই অফিসটি করেছি। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এই অফিসে ভাঙচুর ও লুট করেছে। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি করছি। 

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সাইফুল জানান, নাইম ও আমি এই দোকানটি চালাতাম। এখান থেকে পাইকারি দরে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিকস পণ্য, গাড়ির ব্যাটারি ও ব্যাটারির পানি বিক্রি করতাম। দোকানে ১০ থকে ১২ লাখ টাকার মালামাল ও নগদ টাকাও ছিল। গতকাল রাতে দুর্বৃত্তরা লুট করেছে। দুর্বৃত্তদের বিচারের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ চাই।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামছউদ্দিন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত চলছে। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।