
প্রিন্ট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২১ পিএম
নিহত ছাত্রদের লাশ কবর থেকে তুলতে মানা স্বজনদের

পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম

আরও পড়ুন
পাবনায় স্বজন এবং শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম এবং মাহবুব হাসান নিলয়ের লাশ কবর থেকে তুলতে পারেনি প্রশাসন।
শনিবার দুপুরে আলাদতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ওই ২ শিক্ষার্থীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে যায়।
গত ৪ আগস্ট পাবনা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিবর্ষণে নিহত হন পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম (২২)এবং শহরের সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুলের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহবুব হাসান নিলয় (১৭)।
পরে পরিবারের আবেদনে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে তাদেরকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। নিহতদের স্বজনরা জানান, শনিবার দুপুরে পুলিশ ২ শিক্ষার্থীর লাশ কবর থেকে উত্তোলনের জন্য উদ্যোগ নেয়। এসময় তারা সন্তানদের লাশ কবর থেকে তুলতে বাধা দেন।
পরে খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর থানা, পুলিশ সুপার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, জাহিদ ও নিলয়ের লাশ ময়না তদন্তের নামে কবর থেকে উত্তোলন করা শহিদদের প্রতি অবমাননার শামিল। প্রকাশ্যে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের মাঝে সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের উপর নির্মমভাবে গুলি চালিয়েছে এটাই প্রমাণ। তারা খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির কার্যকরের দাবি জানান। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাশ উত্তোলন না করে ফিরে আসেন।
পাবনা সদর থানার ওসি রওশন আলী জানান, মামলার কারণে লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রয়োজন। এজন্য আমরা আদালতের অনুমতি নিয়ে লাশ উত্তোলন করতে গিয়েছিলাম।
এদিকে শহিদ নিলয়ের বাবা আবুল কালাম বলেন, আমরা ওই সময় ডিসি ও এসপির অনুমতি নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করেছি। কিন্ত এখন তারা নতুন করে আমাদেরকে বিব্রত করছেন।