Logo
Logo
×

সারাদেশ

দৌলতপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

Icon

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ পিএম

দৌলতপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

ছবি: সংগৃহীত

জেলার দৌলতপুরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস দখল করে চাঁদাবাজি, চাঁদার টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বুধবার দুপুরে দৌলতপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর ইকবাল কর্নেল, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রতন, দৌলতপুর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কৌশিক আহমেদ, ছাত্রদলের নেতা পারভেজ। 

তারা দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সাবরেজিস্ট্রি অফিস দখলসহ চাঁদাবাজির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন স্থানীয়রা। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

আহত জাফর ইকবাল কর্নেল, রতন, কৌশিক ও পারভেজ বলেন, দৌলতপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতি অনিয়মের ব্যাপারে আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে গঠিত দালাল চক্র এই সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি অনিয়ম ও চাঁদাবাজি করত। 

তারা বলেন, গত ৫ আগস্ট নতুন করে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের সেসব নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। এখন বিএনপির একটা পক্ষ চাঁদাবাজির করছিল। আমরা প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে।

এ বিষয়ে দৌলতপুর সাবরেজিস্ট্রার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ওদের চাচা-ভাতিজার পারিবারিক ঝামেলা। এটা দলীয় কোনো বিষয় না। তবে তারা সবাই বিএনপি করে। সংঘর্ষের কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুঠোফোনে বলা সম্ভব না।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম