প্রসূতির চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর
সোনাইমুড়ি (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ পিএম
নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে প্রসূতির চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুরে সোনাইমুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে রোগীর স্বজন ও ছাত্ররা এ ঘটনা ঘটায়।
প্রসূতি সুমাইয়া আক্তার (২২) সোনাইমুড়ি সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের শফিকুলের স্ত্রী।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রসূতি সুমাইয়া আক্তার সোনাইমুড়ি সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আসেন ২৪ আগস্ট। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার প্রসব বেদনা শুরু হয়। এ সময় দ্রুত তাকে স্থানীয়রা সোনাইমুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে ডাক্তার শফিক রায়হান রোগী না দেখে মোবাইল ফোন টিপতে থাকেন। স্বজনরা চিকিৎসার কথা বললে তাকে মাইজদী রেফার করে দেন। এরপর স্বজন ও ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর করে। এতে হাসপাতালের মেইন গেটসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে থানার পুলিশ সদস্যরা ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত ডাক্তার থাকে। এরপর তাদের কোনো হদিস পাওয়া যায় না।
চিকিৎসায় অবহেলার বিষয়ে ডাক্তার শফিক রায়হান বলেন, আমি কোনো মোবাইল ফোন দেখিনি। আমাদের ৫০ শয্যা হাসপাতাল। নার্স সংকটে আছি, এখানে মাত্র ২ জন নার্স। ডেলিভারি রোগী সুমাইয়া যখন আসেন, তখন নার্স ইসরাত তিনতলায় ছিলেন। এ নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে আমাদের একটু বাগবিতণ্ডা হয়। স্বজন ও ছাত্ররা হামলা চালিয়ে মেইন গেট ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি দেখে। আমরা তাদের বুঝিয়ে বলি। সুমাইয়ার নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। মেয়ে সন্তান হয়েছে। এখন নবজাতকের অবস্থা ভালো আছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, প্রসূতি এখন সুস্থ আছেন। নবজাতকও সুস্থ আছে। আপাতত কোনো ঝামেলা নেই।