খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট আড়াই ফুট থেকে বাড়িয়ে ধাপে ধাপে ৫ ফুট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে পানি ছাড়া হচ্ছে ৯৮ হাজার কিউসেক।
এছাড়া কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদনের মাধ্যমে নির্গত হয়ে যাচ্ছে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি। সব মিলে কাপ্তাই হ্রদ হতে প্রতি সেকেন্ডে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে ১ লাখ ৩০ হাজার কিউসেক। ফলে বর্তমানে কমতে শুরু করেছে কাপ্তাই হ্রদের পানি।
মঙ্গলবার বিকালে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে, এদিন সকাল থেকে কেন্দ্রের কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট ৫ ফুট খুলে দিয়ে পানি ছাড়া হচ্ছে। পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানোর ফলে ভাটি এলাকার কর্ণফুলী নদীতে তীব্র স্রোতে ও জোয়ারের কারণে চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে রাঙামাটি-রাজস্থলী ও বান্দরবান সড়কের যাত্রীরা সাময়িক দুর্ভোগে পড়েছেন।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে বাঁধের জলকপাট আড়াই ফুট থেকে বাড়িয়ে ধাপে ধাপে ৫ ফুট খোলা হয়েছে। এখন ১৬টি গেট দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৯৮ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে।
এছাড়া কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি নির্গত হয়ে যাচ্ছে। এতে সব মিলে সেকেন্ডে ১ লাখ ৩০ হাজার কিউসেক পানি ভাটি এলাকার কর্ণফুলী নদী দিয়ে বঙ্গোপসাগরে চলে যাচ্ছে।
এদিকে বাঁধ দিয়ে বেশি করে পানি ছাড়ার কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাঙামাটি শহরের শান্তিনগর, রসুলপুর ও রিজার্ভ বাজারসহ আশপাশের এলাকার রাস্তাঘাট এবং বাড়িঘর থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে।
তবে সদরসহ জেলায় এখনো হাজারের বেশি পরিবারের বাড়িঘর ও স্থাপনা হ্রদের পানিতে ডুবে রয়েছে। এতে মানবেতর পরিস্থিতির শিকার পানিবন্দি লোকজন।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলার সদর উপজেলা, লংগদু, বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, কাপ্তাইসহ কয়েক উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বহু গ্রামের মানুষ এখনো পানিবন্দি রয়েছেন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান।