Logo
Logo
×

সারাদেশ

পেকুয়ায় শ্রমিক দল নেতা খুন

উপজেলা আ.লীগ সম্পাদকসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

Icon

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ পিএম

উপজেলা আ.লীগ সম্পাদকসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ফাইল ছবি

কক্সবাজারের পেকুয়ায় সিএনজি, টেম্পু, অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন দখলকে কেন্দ্র করে সদর ইউনিয়নের পশ্চিমজোন শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শওকতকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় পেকুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। নিহতের ভাই মোহাম্মদ সাকের বাদি হয়ে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। 

ঘটনার পর স্থানীয় শ্রমিকদলের দুই পক্ষের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কিন্তু মামলায় হত্যাকাণ্ডে জড়িতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের চারজন নেতাকে আসামি করা হয়েছে। 

তারা হলেন- পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজমগীর, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম ও পেকুয়া উপজেলা প্রজন্মলীগের সভাপতি মোখতার আহমদ।

পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ২৬ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পেকুয়া বাজারের পশ্চিমে ভোলাইয়াঘোনা এলাকায় শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শওকতকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নেতৃত্ব দেন শ্রমিকদলের পশ্চিমজোনের সহ-সভাপতি বদিউল আলম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন। তাদের সঙ্গে কিছু ছিঁচকে সন্ত্রাসী, টোকাই, চোরও ছিল।

মামলার এজাহারে দেখা যায়, মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে শ্রমিকদল নেতা বদিউল আলমকে। ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে আরেক শ্রমিকদল নেতা সাজ্জাদকে। 

অন্য আসামিরা হলেন- উত্তর গোঁয়াখালীর মৃত ফকির আহমদের ছেলে নওশা মিয়া (৫০), নওশার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ ওয়াজিদ ওরফে শোকা (৩২), মোহাম্মদ খোরশেদ (৩০) ও মোহাম্মদ রাশেল ওরফে টুনুইক্কা (৩১), মৃত ফকির আহমদের ছেলে আহমদ শফি (৫২), আহমদ শফীর ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২২), মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইমরান (২৪), মৃত আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল আবছার ওরফে আচ্ছু (৪৮), মৃত আহমদের ছেলে মোহাম্মদ সিকদার (২৮), ভোলাইয়াঘোনা এলাকার মৃত মিয়ার ছেলে রশিদ আহমদ (৫৮), রশিদ আহমদের ছেলে মো. মনির (২৫) ও মোহাম্মদ সোহেল (২৬), আবুল কাশেমের ছেলে মোহাম্মদ শওকত (২৫) ও পূর্ব গোঁয়াখালীর মৃত শফিউল আলমের ছেলে মাহান নুর (৪৬)।

মামলা রুজু হওয়ার পর পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি বিবৃতি দেন, বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট আমার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-লুটপাটের পর আমার পরিবারের কেউ এলাকায় নেই। অথচ শ্রমিকদলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে খুনের ঘটনায় আমাকেসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, বাদীর দেওয়া এজাহারটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে।  কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি আসামি হয়ে থাকলে তদন্তকারী কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে বাদ দিবেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম