আদ-দাওয়াহ বাংলাদেশ ও মারকাযুল ফুরকান ফাউন্ডেশন
বন্যায় ভেসে আসা মরদেহ উদ্ধার করে দাফন করছেন আলেমরা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারি বর্ষণে প্লাবিত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চট্টগামসহ বেশ কয়েকটি জেলায় প্রবল বন্যায় বিপর্যস্ত।
এমন পরিস্থিতিতে বন্যায় বিপন্ন জনপদে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে আলেমদের তত্বাবধানে পরিচালিত সংস্থা ‘আদ-দাওয়াহ বাংলাদেশ’। উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলছে সংস্থাটি।
২২ আগস্ট থেকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে অস্থায়ী ক্যাম্প করে আদ-দাওয়াহ বাংলাদেশ ও মারকাযুল ফুরকান ফাউন্ডেশন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ বিতরণ শুরু করে। তাদের সঙ্গে যৌথভাবে বন্যার্তদের সেবায় কাজ করছে রেডিও একাত্তর ও ত্বোহা জিন্নুরাইন ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনের কর্মীরা বন্যার ভয়াবহতায় হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার অভিযানসহ ভেসে আসা একাধিক লাশও দাফন করেছেন। লাশগুলোর মধ্যে একজন শিশু, দুজন পুরুষ ও একজন নারী ছিলেন।
কুমিল্লার লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, বুড়িচং, দেবিদ্ধার, চৌদ্দগ্রাম ক্যান্টনমেন্টসহ আশপাশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গত ১০ দিন ও নোয়াখালীর মাইজদী তালীমুস সুন্নাহ মাদরাসায় একটি অস্থায়ী ক্যাম্প করে তিন দিন শুকনো ও রান্না করা খাবারের সমন্বয়ে ৫ থেকে ৬ হাজার লোকের খাবার বিতরণ ও পরশুরামে ৫ শতাধিক মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী প্যাকেট বিতরণ করা করেছে ‘আদ-দাওয়াহ বাংলাদেশ ও মারকাযুল ফুরকান ফাউন্ডেশন।
আদ-দাওয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা মামুন চৌধুরী জানান, আদ-দাওয়া বাংলাদেশ, মারকাযুল ফুরকান ও রেডিও একাত্তরের যৌথ উদ্যোগে প্রতিদিন ৫-৬টি টিমে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে- আলহামদুলিল্লাহ।
এ সময় তিনি বন্যা শেষে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও আর্থিক সহযোগিতায় দেশবাসীকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসারও আহবান জানান।
ত্রাণ তৎপরতা প্রসঙ্গে মারকাযুল ফুরকান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা মোশাররফ হোসাইন মাহমুদ বলেন, আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম হলো- বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখায় ভিক্টোরিয়া কলেজ মসজিদের খতিব মাওলানা মামুন মুস্তফী, নোয়াখালী মাইজদী তালিমুস সুন্নাহ মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল্লাহ ও মাওলানা গাজী আল মাহমুদ, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব মুফতি মুয়াবিয়া আল হাবিবি, মুফতি রফি উদ্দিন মাহমুদ নুরী, আশ-শরইয়্যা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী, মাওলানা ইমাদ উদ্দিন ও ত্বহা জিন্নুরাইন ফাউন্ডেশনের মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিসবাহকে বিশেষ শুকরিয়া জ্ঞাপন করেছেন আদ-দাওয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা মামুন চৌধুরী।
এ ছাড়া ত্রাণ কার্যক্রমে সর্বক্ষণ নিয়োজিত ছিলেন মাওলানা আবুল বাশার রেজওয়ান, মুফতি ফয়জুল্লাহ কুমিল্লা, মাওলানা ইয়াসিন মাহমুদ বরকতুল্লাহ, মাওলানা আহসানুল্লাহ জাকি, মাওলানা ইমদাদ হাফেজ মারূফ বিল্লাহ, হাফেজ আল-আমিন প্রমুখ।