পুলিশের গুলিতে পঙ্গু মোফাইলের নেই চিকিৎসার খরচ
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২৯ পিএম
ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রদীপ ফ্যান কোম্পানির কর্মচারী মোফায়েল হোসেন (২৩) পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে দিন পার করছেন। দীর্ঘ এক মাস সাত দিন ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন মোফাইল হোসেন। তিনি দামুড়হুদার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের দিনমজুর হাফিজুর রহমানের ছেলে। অসহায় দরিদ্র পরিবারটি ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে পারছে না পরিবার।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের দিনমজুর হাফিজুর রহমানের ছেলে মোফাইল হোসেন। ১৯শে জুলাই ঢাকার যাত্রাবাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মিছিল বের হয়। ওই সময় তিনি এবং তার বন্ধুরা মিলে বাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রাবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এমন সময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে তার ডান পা গুরুতর জখম হয়। পরে তার বন্ধুরা তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকার সালমান হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার চিকিৎসার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। দীর্ঘ এক মাস সাত দিন পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর চিকিৎসার খরচ জোগাতে না পেরে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে তার পরিবার। বর্তমানে নিজ বাড়িতেই বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন তিনি। তার চিকিৎসায় সকলের নিকট সহায়তা চেয়েছেন পরিবারটি।
দিনমজুর হাফিজুর রহমান বলেন, ছেলের এমন ঘটনা শোনামাত্র আমরা তড়িঘড়ি করে ঢাকায় চলে যাই। চিকিৎসার জন্য ছেলেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে না পেরে এক মাস সাত দিন পর ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে এসেছি। প্রতি ১৪ দিন পর পর ছেলেকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। আমার একার পক্ষে তার চিকিৎসাব্যয় বহন করা কষ্টের। ছেলের সুচিকিৎসার জন্য বর্তমান সরকারসহ স্ব-হৃদয়বানদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
দামুড়হুদার হাউলী ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান বলেন, মোফাইলের পরিবারটি খুবই আসহায় গরিব। প্রশাসন ও বৃত্তবানদের সহায়তা পেলে সুচিকিৎসায় ছেলেটা সুস্থ হয়ে উঠবে।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোঁজ খবর নিয়ে তার সুচিকিৎসায় সহযোগিতা করা হবে।