রুবেল হত্যা মামলায় আরও ১০ আসামি কারাগারে
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
ভিকটিম রুবেল মিয়া
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে চাঞ্চল্যকর রুবেল মিয়া হত্যা মামলায় আরও ১০ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে গাইবান্ধার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন বিচারক।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- ৪ নম্বর আসামি মো. পাপ্পু মিয়া, ৫ নম্বর মো. নাজমুল হক, ৯ নম্বর মো. আবু শহিদ মিয়া, ১১ নম্বর মো. সাইদুর রহমান ভুলু, ১২ নম্বর মো. শামিম মিয়া, ১৩ নম্বর মো. মালেক মিয়া, ১৪ নম্বর মো. জিসান মিয়া, ১৫ নম্বর মো. পলাশ মিয়া, ১৬ নম্বর মো. সোহেল মিয়া এবং ১৭ নম্বর মো. জনি মিয়া।
রুবেল হত্যা মামলায় আরও একজন কারাগারে
জানা যায়, এদিন উল্লিখিত আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে তারা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানার ওসি আজমিরুজ্জামান বলেন, আমাদের কাছে এখনও আদালতের কাগজ আসেনি। তবে আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। আদালতের পক্ষ থেকে আমাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হলে আমরা আসামিদের রিমান্ডের আবেদন করব।
রুবেল হত্যা মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে আতিয়ার ও মধু
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর আগে শামসুল মিয়া নামে এক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি আদালতের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে এবং আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেছি। তবে এখনো রিমান্ড শুনানি হয়নি।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৫ আগস্ট মামলার ৭ নম্বর আসামি মো. শামসুল মিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের বুজরুক বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত আইজার রহমানের ছেলে। তিনিও হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার ১০ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান জানান, তিনি ঢাকা থেকে ফিরছেন। তাই বিষয়টি সম্পর্কে তিনি এখনও কিছু জানেন না।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নওসাদুজ্জামান জানান, হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়া ১০ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, এ মামলার আরেক আসামি আব্দুল খালেকও হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন। তবে জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও তিনি আত্মসমর্পণ করেননি।তার নামে ওয়ারেন্ট জারি করবে আদালত। এছাড়া রনি ও সইফ নামে দুই আসামি জামিনও নেয়নি কিংবা আত্মসমর্পণও করেনি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২১ আগস্ট গাইবান্ধার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফারুক হোসেনের আদালত মামলার ১ নম্বর আসামি আতিয়ার রহমান ও ২ নম্বর আসামি মধু মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৮ জুন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পলাশবাড়ীর বোর্ড বাজার এলাকায় আতিয়ার রহমান ও মধু মিয়াসহ তার লোকজন ভিকটিম রুবেল মিয়াকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রেবা বেগম বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় ১৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে (৩ জন সন্দেহভাজনসহ) গ্রেফতার করা হয়েছে।