বন্যা-টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তায় গাড়ির চাকা গর্তে দেবে যাওয়ার জো। চাকা যেন গর্তে না পড়ে সেজন্য স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে থেকে চালকদের সঠিক পথ দেখিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আবেগাপ্লুত হয়ে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ বাঙালি- জাতির দরকার যোগ্য লিডারশিপ।

তিনি বলেন, নোয়াখালীর চৌরাস্তা থেকে লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে আছে। যেখানে গর্ত যেন সেখানে গাড়ি না পড়ে। তারা দেখিয়ে দিচ্ছে গাড়ি কোন দিক দিয়ে যাবে। পুরো রাস্তায় ছিল এমন দৃশ্য। বাংলাদেশে আর কখনো দেখা যায়নি। বাঙালি জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। দরকার তাদের যোগ্য লিডারশিপ। তাহলে তারা তাহলে তারা এ দেশকে স্বর্ণের টুকরা হিসেবে পরিণত করতে পারবে। মানুষ অদম্য, স্পৃহা আছে ভালো কাজের জন্য। বন্যায় যেমন আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে দেখেছি। অন্য সবক্ষেত্রে আমরা তা দেখেছি।

মঙ্গলবার বিকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ও কুশাখালী ইউনিয়নে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে এসে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সদরের শহর কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুশাখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এ্যানি চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষসহ আশপাশের মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা। 

বন্যার্তদের ত্রাণ দেওয়া নিয়ে আহমাদুল্লাহ বলেন, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ১৫-১৮টি কাভার্ডভ্যান ভর্তি করে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। শুধু এ অঞ্চল নয়, খুলনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আমরা ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছি। যেখানে আমরা পৌঁছতে পারছি না, সেখানে সেনাবাহিনীর কাছে আমরা মালামাল দিয়ে দিয়েছি। আমি অনুরোধ করব, সবাই এসব অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়ান। সাধ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের কষ্ট দূর করতে চেষ্টা করেন।  

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, একজন মুসলমান কখনো স্বার্থপর হতে পারে না। আমরা স্বার্থপর হবো না। ধর্ম-বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে সব বন্যার্ত মানুষের দুঃখ কষ্ট-দুর্দশা লাঘবে আমাদের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে হবে। আপনার বাসায় একটা ত্রাণ এসেছে। আবার এলে আপনি নেবেন না। যে বাসায় পায়নি, তাদের দেখিয়ে দেন। ত্রাণ বিতরণে স্থানীয়দের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।