Logo
Logo
×

সারাদেশ

সাবেক মন্ত্রী-আ.লীগ নেতাসহ ৫৭ জনের নামে হত্যা মামলার বাদী অটোচালক

Icon

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪২ পিএম

সাবেক মন্ত্রী-আ.লীগ নেতাসহ ৫৭ জনের নামে হত্যা মামলার বাদী অটোচালক

সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৫৭ জনের নামে হত্যা মামলা করেছেন এক অটোরিকশাচালক। মামলায় ১০-১২ জন পুলিশ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

সোমবার রাতে টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার আলমনগর এলাকার লাল মিয়ার ছেলে মো. ইব্রাহিম বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, কোনাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা করা হয়েছে। 

এছাড়া মামলায় ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্য সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

নিহত হলেন টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার উত্তরপাড়া আলমনগর এলাকার লাল মিয়ার ছেলে হৃদয় (২০)। নিহত ও মামলার বাদী সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানাধীন হরিনাচালা এলাকায় বাসা ভাড়া থেকে হৃদয় ও মো. ইব্রাহীম অটোরিকশা চালাতো। গত ৫ আগস্ট বিকেলে তারা কোনাবাড়ী থানাধীন কুদ্দুছ নগর এঞ্জেল গেট সংলগ্ন রাস্তার উপর অবস্থান করছিল। এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র জনতা কোনাবাড়ী হতে কাশিমপুর রোড দিয়ে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিয়ে কোনাবাড়ী থানার দিকে আসতে থাকে। 

একপর্যায়ে আ ক ম মোজাম্মেল হক, আজমত উল্লাহ খানের হুকুমে এজাহারে মামলার আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, রাম দা, লোহার রড, চাপাতি, লাঠি সোটা নিয়া আন্দোলনকারী (নিরস্ত্র) ছাত্র জনতার ওপর আক্রমণ করে। 

এ সময় মামলার বাদী ইব্রাহীম ও তার মামাতো ভাই মো. হৃদয় অটোরিকশা ফেলে রাস্তার পাশে একটি দোকানে আশ্রয় নেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা মো. হৃদয়কে টানাহেঁচড়া করে রাস্তার উপরে এনে চারপাশ থেকে ঘেরাও করে। পরে আগ্নেয়াস্ত্র তার পেটে ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যার পর লাশ গুম করে। হত্যার ঘটনাটি অনেকে স্বচক্ষে দেখেছেন এবং ভিডিও করে রেখেছেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্ আলম মামলার বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম