মীরসরাইয়ে কমছে পানি, বাড়ছে বিদ্যুৎ খাবার পুনর্বাসন সংকট
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৩ পিএম
মীরসরাইয়ে টানা পাঁচ দিনের বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দুই লাখেরও বেশি মানুষ। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে এখানকার ফেনী নদীর পানির উচ্চতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৬ দিন ধরে এখানকার ১১টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম এখনো সংকটের মধ্যে।
সোমবার সকাল থেকে কয়েকটি এলাকায় কয়েক ফুট পানি কমেছে। তবে অনেক গ্রামে এখনো লাখো অসহায় মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিনযাপন করছেন।
ফেনী নদীর ভাটিতে অবস্থিত দেশের বৃহত্তর সেচ প্রকল্প মুহুরীর দুটি গেট পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। অকেজো আছে আরও দুটি গেট। এ কারণে একদিকে জোয়ারের সময় ফেনী নদী হয়ে অভ্যন্তরে ঢুকছে বঙ্গোপসাগরের পানি। আবার ভাটার সময় দুটি গেট অকেজো থাকার কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে পাউবোর কাউকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
এদিকে মহাসড়ক কয়েক দিন অচল থাকায় মুদি দোকান ও কাঁচাবাজারে সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। মহাসড়ক সচল হওয়ার পর ও অনেকে বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মীরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী সর্বশেষ বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে জানান, কিছু কিছু এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, যুব রেডক্রিসেন্ট অ্যালামনাই, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং শিক্ষার্থীরা পৃথকভাবে বানভাসি মানুষের উদ্ধার এবং তাদের মাঝে বিশুদ্ধ পানীয়, ওষুধ ও খাবার বিতরণ করছেন। যেসব এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে, সেসব গ্রামের অনেকগুলো এখনো বিদ্যুৎহীন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ বারইয়ারহাট জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হেদায়েত উল্যাহ ও মীরসরাই জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আদনান আহমেদ জানান, কয়েকটি এলাকায় পানির তীব্রতা কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়েছে। এখনো বন্যাকবলিত অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। তবে পর্যায়ক্রমে লাইন মেরামত করে সব গ্রামেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে।