পাবনায় কাস্টমস ডেপুটি কমিশনারের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা ঘুসের অভিযোগ
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
সোহানী। ছবি-সংগৃত
পাবনায় বিগত সরকারের সময় জেলার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের ডেপুটি কমিশনার এবং বিভাগীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা ঘুস দাবির অভিযোগ করেছেন বিশিষ্ট নারী শিল্পপতি ইউনিভার্সাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কবি সোহানী হোসেন।
শুধু তাই নয়, দাবিকৃত ঘুসের টাকা না দেওয়ায় সোহানী হোসেনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পৌণ দুইশো কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা করেন ওই কাস্টমস কমিশনার জাহিদুল ইসলাম। এতে উপর্যুপরি চরম হয়রানীর কবলে পড়ে ৪ বছর আগে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন সোহানী হোসেন।
এদিকে কোম্পানী বন্ধ করে দেওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এ গ্রুপে কর্মরত হাজার হাজার মানুষের জীবন জীবিকা।
শনিবার দুপুরে মিসেস সোহানী হোসেন রোটারী ক্লাব অব রুপকথা অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে সোহানী হোসেন বলেন,তার স্বামী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শু্যুটার ও ইউনিভার্সাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোবারক হোসেন রত্ন ২০০৭ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
স্বামীর অকাল মৃত্যুর পর এতিম ৫ মেয়ে নিয়ে তিনি হতাশাগ্রস্ত না হয়ে এবং ইউনিভার্সাল গ্রুপের হাজার হাজার কর্মীর রুটি রুজির কথা চিন্তা করে কোম্পানী সচল রাখার প্রতিজ্ঞা করেন। অনেক পরিশ্রম করে তিনি সফলও হন এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ভ্যাটদাতা হিসেবে সনদ গ্রহন করেন।
কিন্ত এ সত্বেও তৎকালীন পাবনা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জেলার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের ডেপুটি কমিশনার জাহিদুল ইসলামের কুদৃষ্টিতে পড়ে তার প্রতিষ্ঠানের উপর। ২০১৯ সালে তার কাছে ২ কোটি টাকা ঘুস দাবি করেন ডেপুটি কমিশনার জাহিদুল ইসলাম এবং এই ঘুসের টাকা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ২৭০ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির মিথ্যা মামলা ঠুকে দেন।
এরপর দফায় দফায় প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে চরম হয়রানী করা হয়। এক পর্যায়ে অফিসের সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং কম্পিউটার নিয়ে যান। ওই মামলা এবং হয়রানীর কারণে ৪ বছর ধরে বন্ধ ইউনিভার্সাল ফুড লিমিটেড।
সোহানী হোসেন বলেন, জাহিদুল ইসলামের হয়রানী থেকে পরিত্রানসহ কোম্পানী সচল রাখতে তৎকালিন এনবিআর এর চেয়ারম্যানসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তির সাহায্য চেয়েও কোন লাভ হয়নি। তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তি সরকারের কাছে হয়রানীর প্রতিকারসহ প্রতিষ্ঠানটি আবারো চালু করতে সহায়তা কামনা করেন। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডেপুটি কমিশনার জাহিদুল ইসলাম ২০২০ সালে পাবনা থেকে বদলী হয়ে যান।