Logo
Logo
×

সারাদেশ

রংপুরের অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যান আত্মগোপনে

Icon

রংপুর ব্যুরো

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম

রংপুরের অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যান আত্মগোপনে

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর রংপুর সদরসহ জেলার আট উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আত্মগোপনে রয়েছেন। দু-একজন এলাকায় থাকলেও তারা সতর্কভাবে চলাফেরা করছেন। এরা আওয়ামী লীগের সমর্থক হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কাজকর্ম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষজন। এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে এলাকাবাসী আন্দোলন শুরু করছেন। 

জানা গেছে, রংপুর সদর উপজেলাসহ জেলার আট উপজেলায় ৭৬টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। যার অধিকাংশ চেয়ারম্যান ও সদস্য আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতা বা সমর্থক। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর তারা আত্মগোপনে রয়েছেন। জেলার মিঠাপুকুর উপজেলা ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই উপজেলায় সাতজন জামায়াতের সমর্থক চেয়ারম্যান রয়েছেন। তারা বাদে প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থিত। আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানরা এখন কেউ এলাকায় নেই। 

জেলার পীরগঞ্জে ১৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। এই উপজেলার সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা আত্মগোপন করেছেন। এর মধ্যে কুমেদপুর ইউনিয়ন, রামনাথপুর, কাবিলপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে স্থানীয়রা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। কাউনিয়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারজনই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। তারা এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছেন। পীরগাছা উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের চারজন চেয়ারম্যান পলাতক রয়েছেন। 

গঙ্গাচড়া উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন। এর মধ্যে পাঁচজন আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী সমর্থিত চেয়ারম্যান রয়েছেন। তারাও আত্মগোপনে রয়েছেন। বদরগঞ্জ উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচজন রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে তাদের এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে রাধানগর, বিষুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের পদত্যাগ চেয়ে স্থানীয়রা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।  তারাগঞ্জ উপজেলায় পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত একজন চেয়ারম্যান রয়েছেন। এখন তাকেও এলাকায় দেখা যাচ্ছে না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। 

রংপুর সদরে পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে তিনজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা এলাকায় থাকলেও সতর্কভাবে চলাফেরা করছেন।

স্থানীয়রা বলেছেন, আওয়ামী লীগের ইউপি চেয়ারম্যানরা জনরোষের ভয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। কারণ প্রায় চেয়ারম্যানই আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতা বা সমর্থক হিসাবে পরিচিত। তারা ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত থাকায় নাগরিকসেবা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। জনগণ প্রয়োজনের সময় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে পাচ্ছেন না। এতে ভোগান্তির মাত্রা বাড়ছে। অপরাধপ্রবণতাও বেড়ে চলেছে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম