আন্দোলনে নিহত ইনতিশারকে জাতীয় বীরের মর্যাদার দাবি

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ময়মনসিংহের ত্রিশালের ইনতিশার। শুরু থেকেই অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন তিনি। ৫ আগস্ট মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাবা-মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যান ইনতিশার। পথিমধ্যে মাওনা পৌঁছালে তাদের বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তখন বিজিবির গুলিতে প্রাণ হারান ইনতিশার।
ছাত্র আন্দোলনের বিজয় বার্তায় যখন সারা দেশ আনন্দে উদ্বেলিত। ঠিক সেই সময় বাড়িতে খবর আসে ইনতিশার বিজিবির গুলিতে নিহত হয়েছেন।
ইনতিশারের মা নাজমুন্নাহার জানান, আমার ছেলে বলে গেল মা দেশ স্বাধীন করে আসছি। আর ফেরা হলো না নম্র ভদ্র সদা হাস্যোজ্জ্বল ইনতিশারের। আমি কাকে আদর করে বাবা ডাকব।
জানা গেছে, ত্রিশাল উপজেলার বইলর ইউনিয়নের উজান বইলর গ্রামের আ হ ম এনামুল হক লিটনের ছেলে আসীর ইনতিশারুল হক ইনতিশার। তিনি ভার্সিটিতে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
ইনতিশারের ছোট ভাই বাশিরুল হক মাহির বলেন, ও আমার ভাই আমার বন্ধু ছিল। কোটা আন্দোলনে আমার ভাই নিহত হয়েছেন। আমার ভাই যেন জাতীয় বীরের মর্যাদা পায়। ইনতিশারের বাবা-মায়েরও একই দাবি।
চাচা অধ্যক্ষ নাজমুল হক বলেন, আমাদের পরিবারের সবার বড় ইনতিশার বিজিবির গুলিতে নিহত হয়। বইলর ধানীখোলা সড়ককে ইনতিশারের নামে নামকরন করার দাবি জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রবিউস সানি বলেন, ইনতিশার আন্দোলনের প্রথম থেকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। আমরা তার হত্যার বিচার চাই। পাশাপাশি ইনতিশারকে জাতীয় বীরের নামের তালিকায় যেন লেখা থাকে এ দাবি জানান তিনি।