Logo
Logo
×

সারাদেশ

কমেছে হাওড়া নদীর পানি, আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

Icon

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫৫ পিএম

কমেছে হাওড়া নদীর পানি, আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ত্রিপুরার পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে। হাওড়া নদীর পানি কমতে শুরু করায় দুর্ভোগে থাকা মানুষেরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। তবে এখনো উপজেলার বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দা পানিবন্দি রয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকেই বৃষ্টি না হওয়ায় উপজেলার ডুবে যাওয়া নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। আখাউড়া-আগরতলা সড়কসহ গ্রামীণ রাস্তাগুলো থেকেও বন্যার পানি সরে যাচ্ছে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্বে) মনজুর রহমান যুগান্তরকে জানান, হাওড়া নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার কমেছে। এখন পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করছে। উজানে বৃষ্টিপাত কমতে থাকায় পানি কমে আসছে। কেন্দ্রীয় তথ্য অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি আরও কমবে। ভারতে বিপৎসীমার নিচে পানি নেমে আসায় আমাদের জন্য সুখবর বলে মনে করছেন তিনি।  
এদিকে পানি কমে এলেও বন্যাকবলিত হাজারও পরিবার নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। 
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাত থেকে ভারি বর্ষণ শুরু হয়। বুধবার সকালে আখাউড়া স্থলবন্দরের পাশে কালন্দি ও জাজি নদী দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। পানিতে তলিয়ে যায় আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকাসহ অন্তত ৩০টি গ্রাম। 

এদিকে বুধবার রাতে অব্যাহত বৃষ্টি আর ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি ঢলের তোড়ে মোগড়া ইউনিয়নের কর্নেল বাজার এলাকার আইড়ল-ইটনা সড়কের হাওড়া নদীর বাঁধের কয়েকটি অংশ ভেঙে যায়। এতে নতুন করে আরও কিছু এলাকা প্লাবিত হয়। উপজেলার অন্তত অর্ধতাধিক গ্রামে পানি ঢুকে আকস্মিক বন্যার কবলে পড়ে। পানিবন্দি হয়ে পড়ে অন্তত ৫ হাজার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কৃষকের সবজি খেত, ফসলি রোপা ধানের জমিসহ ঢলের পানিতে পুকুর তলিয়ে ভেসে গেছে মাছ।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় হাওড়া নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। উপজেলায় ১ হাজার ৬৯৫টি পরিবার পানিবন্দি আছে। বানভাসি মানুষের জন্য ১৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং চিকিৎসার জন্য ৬টি মেডিকেল টিম কাজ করে যাচ্ছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম