চকরিয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা বৃষ্টিতে অন্তত ১৫ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে মাতামুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হারবাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড গাইনাকাটা এলাকায় ভারি বর্ষণের ফলে ১৫টি কাঁচা ঘর ধসে পড়ে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
স্থানীয়দের সরিয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসন থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ের ঢালুতে অবস্থান করা লোকজনকে সরিয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের নলবিলা এলাকায় বন্যার পানিতে শতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে বয়স্ক, শিশু ও নারীরা বিপাকে পড়েছেন। কাছেই সাইক্লোন শেল্টার ও স্থানীয় লোকজনের বিল্ডিংয়ে অনেককে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। তবে শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানি নিয়ে তাদের দুঃচিন্তা রয়েছে।
লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওরঙ্গজেব বুলেট বলেন, লক্ষ্যারচর পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ওই এলাকার নিজ তহবিল থেকে সাধ্যমতো শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
কৈয়ারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মক্কি ইকবাল হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়ন মাতামুহুরী নদীবেষ্টিত হওয়ায় অধিকাংশ ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উপকূলীয় এলাকার ৫ ইউনিয়ন, বদরখালী, কোনাখালী, পশ্চিম বড় ভেওলা ও ঢেমুশিয়া এলাকায় পানি নিষ্কাশনে জলমহালের স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় মৎস্যঘের, ধানক্ষেত ও সবজি ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে যায়।
উপজেলার সুরাজপুর, মানিকপুর, কাকারা, ফাঁসিয়াখালী, চকরিয়া পৌরসভা, সাহারবিল, বিএমচর, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এতে অন্তত ৫০ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের জন্য একটি চাহিদাপত্র জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে। এসব পণ্য হাতে এলে দুর্গত এলাকায় বিতরণ করা হবে।