Logo
Logo
×

সারাদেশ

বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়ার আশঙ্কা গুজব, রামগতি কমলনগরে রাত জেগে পাহারা

Icon

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম

বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়ার আশঙ্কা গুজব, রামগতি কমলনগরে রাত জেগে পাহারা

লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরের ভুলুয়া নদীসংলগ্ন বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়ার আশঙ্কায় শত শত মানুষ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। 

বুধবার রাতে প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এলাকা স্থানীয় লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে পাহারা দেন। এর আগে ভুলুয়া নদীর পশ্চিমপাড়ের বাসিন্দারা মাইকিং করে লোকজন জড়ো করেন। 

ভুলুয়া নদীর পূর্বপাড়ের বাসিন্দারা অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ডুবে আছেন। ঘরবাড়িতে পানি উঠে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন তারা। পানিবন্দি হয়ে আছে হাজার হাজার পরিবার। তারা বেড়িবাঁধ কেটে দিতে পারেন এমন আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে পশ্চিমপাড়ের বসতিরা রাত জেগে পাহারা দেন।

জানা গেছে, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল ভুলুয়া নদীর বিভিন্ন স্থান দখল করে নিয়েছেন। গড়ে তুলেছেন বসতি। নদীতে বাঁধ দিয়ে করেছেন মাছের ঘের, এমন পরিস্থিতিতে নদীর পূর্বপাড়ে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ডুবে গেছে গ্রামের পর পর গ্রাম। বীজতলার আমন ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। জলাবদ্ধতায় ফসলহানিতে কৃষকের সর্বনাশ হয়ে গেছে। হাজার হাজার একর জমিতে আমন আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যে কারণে বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়া হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে পাশ্চিমপাড়ের লোকজন পাহারার ব্যবস্থা করেন।

স্থানীয় পশ্চিমপাড়ের বাসিন্দা মো. ইয়াসিন বলেন, বেড়িবাঁধ কাটার পরিকল্পনা পণ্ড করে দিয়েছেন ৩ গ্রামের সহস্রাধিক জনতা। চরকাদিরা ইউনিয়নের দক্ষিণ চর ঠিকা সৈয়দ আলী মাঝির বাড়িসংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকায় বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল দুর্বৃত্তদের। এমনটি হলে রামগতির চর সীতা, চরবাদাম ও কমলনগরে চর জাঙ্গালিয়াসহ বিস্তীর্ণ জনপদ ডুবে যাবে। এমন পরিস্থিতি এড়াতে ৩ গ্রামের মানুষ ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এলাকায় অবস্থান নেয়। অপরদিকে পূর্বপাড়ের লোকজন বলছেন, বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়ার আশঙ্কাটি গুজব। 

চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. হারুন বলেন, বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়ার আশঙ্কা নেই। গুজব যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

কমলনগরের চরকাদিরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, জিন্নাহ ভুঁইয়া জানান, ভুলুয়া নদীর পূর্বপাড়ে পানি ক্রমাগত বাড়ছে। বেশিরভাগ লোকজন পশ্চিমপাড়ে আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়ার আশঙ্কায় লোকজন পাহারা দিচ্ছেন। খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি এমনটা হওয়ার আশঙ্কা নেই।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, রাতে বেড়িবাঁধ পাহারা দেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। আশা করছি অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটবে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পানিবন্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম