Logo
Logo
×

সারাদেশ

বগুড়ার ১২ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা হলেন উপজেলা প্রশাসক

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৪৭ পিএম

বগুড়ার ১২ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা হলেন উপজেলা প্রশাসক

বগুড়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ১২ উপজেলা চেয়ারম্যান ও ১২ পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪ এবং স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৪ প্রয়োগ করে পৌরসভার মেয়র, জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের স্ব স্ব পদ থেকে অপসারণ করা হলো।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিক ডা. মকবুল হোসেনকে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান করা হয়। তাকে অপসারণ করে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামকে প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মো. শাহনেওয়াজ এ তথ্য দিয়েছেন।

বগুড়ায় গত ৮ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত চার দফায় ১২ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সব উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অধিকাংশ উপজেলা বিশেষ করে বগুড়া সদরে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাংয়ের মাধ্যমে কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির অভিযোগ উঠে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রশাসনের কাছে নালিশ করেও প্রতিকার পাননি। 

বগুড়া সদরে শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, শাজাহানপুরে সোহরাব হোসেন ছান্নু, শিবগঞ্জে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা, সারিয়াকান্দিতে সাখাওয়াত হোসেন সজল, সোনাতলায় মিনহাদুজ্জামান লীটন, গাবতলীতে অরুন কান্তি রায় সিটন, শেরপুরে শাহ জামাল সিরাজী, ধুনটে আসিফ ইকবাল সনি, নন্দীগ্রামে আনোয়ার হোসেন রানা, আদমদীঘিতে সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, দুপচাঁচিয়ায় আহম্মেদুর রহমান বিপ্লব এবং কাহালুতে আল হাসিবুল হাসান সুরুজ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

স্থানীয় সরকার বিভাগের সূত্র জানায়, চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে ১২ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত বগুড়ার ১২ পৌরসভায় মেয়র পদে বিএনপির ছয়জন, আওয়ামী লীগের চারজন, একজন বহিষ্কৃত বিএনপি এবং একজন বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা নির্বাচিত হন। বিএনপি সমর্থিত মেয়ররা হলেন- বগুড়া পৌরসভায় রেজাউল করিম বাদশা, কাহালু পৌরসভায় আবদুল মান্নান, শেরপুর পৌরসভায় জানে আলম খোকা, দুপচাঁচিয়া পৌরসভায় জাহাঙ্গীর আলম, সান্তাহার পৌরসভায় তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু ও গাবতলী পৌরসভায় সাইফুল ইসলাম। 

আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়ররা হলেন- শিবগঞ্জ পৌরসভায় তৌহিদুর রহমান মানিক, সোনাতলায় জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু, সারিয়াকান্দিতে মতিয়ার রহমান মতি ও নন্দীগ্রামে আনিছুর রহমান। তালোড়ায় বিএনপির বহিস্কৃত আবদুল জলিল খন্দকার ও ধুনটে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত এজিএম বাদশাহ্।

যারা প্রশাসক হলেন- বগুড়া পৌরসভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুম আলী বেগ, শেরপুর পৌরসভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), নন্দীগ্রাম পৌরসভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), দুপচাঁচিয়া পৌরসভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা), সান্তাহার পৌরসভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), ধুনট পৌরসভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি), গাবতলী পৌরসভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি), সোনাতলা পৌরসভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি), সারিয়াকান্দি পৌরসভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি), শিবগঞ্জ পৌরসভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি), কাহালু পৌরসভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং তালোড়া পৌরসভায় সিনিয়র সহকারী কমিশনার, এলএ শাখা, বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। 

সদ্য বিদায়ী বগুড়া পৌরসভার মেয়র, জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা সাংবাদিকদের বলেন, তিনি অপসারণের ব্যাপারে অবগত হয়েছেন। আর এটা সারা দেশের সব পৌরসভার জন্য প্রযোজ্য। অপসারণ প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়ররা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম