দীর্ঘ ৪৭ দিন পর শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)।
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি শান্ত হওয়ায় দীর্ঘদিন পর খুলে দেওয়া হলো হাবিপ্রবি।
ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। ক্যাম্পাস ও শ্রেণিকক্ষে প্রাণ ফিরে এলেও অভিভাবকহীন ও প্রশাসনশূন্য এই হাবিপ্রবিতে একরকম উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে।
শিক্ষার্থীদের দাবি অবিলম্বে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ ও প্রশাসনে শূন্যতা পূরণ করে সন্ত্রাসবাদমুক্ত, রাজনৈতিকমুক্তসহ সেশনজটমুক্ত হোক তাদের শিক্ষাঙ্গন।
দীর্ঘ ৪৭ দিন পর রোববার থেকে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে একাডেমিক কার্যক্রম। শ্রেণিকক্ষে শুরু হয়েছে ক্লাশ। ক্লাশে ফিরতে পারায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে।
হাবিপ্রবির পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন পর ক্লাশে ফিরতে পেরেছি। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটা কেমন যেনো স্বাধীন মনে হচ্ছে। আমাদের এই প্রজন্মের স্বাধীন দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে ক্লাশ করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী বিপ্লব জানান, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রায় সবাই পদত্যাগ করেছেন। এজন্য আমরা সেশনজটের আশঙ্কা করছি। দ্রুত প্রশাসনিক পদগুলো পূরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে সেশনজটমুক্ত শিক্ষাঙ্গন গড়ে তোলার দাবি জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিন আফরিন বলেন, দীর্ঘদিন পর ক্লাশ করতে পেরে অবশ্যই ভালো লাগছে; কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ভিসি, প্রক্টর ও প্রশাসনের কেউ নেই। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ কতটুকু স্বাভাবিক থাকবে, তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি। দ্রুত ভিসি, প্রক্টরসহ প্রশাসনিক অন্যান্য পদগুলোকে পুরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক করার দাবি নাহিন আফরিনের।