
প্রিন্ট: ০২ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৩ এএম
কুমিল্লায় গুলিবিদ্ধ বিএনপির আইনজীবী কালাম মারা গেছেন

কুমিল্লা ব্যুরো
প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম

নিহত আবুল কালাম আজাদ
আরও পড়ুন
কুমিল্লায় গুলিবিদ্ধ বিএনপিপন্থি আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর ট্রমা হসপিটালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এতে রাজনৈতিক অঙ্গন এবং আদালতপাড়ায় শোক বিরাজ করছে। হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি করেন আইনজীবী এবং দলীয় নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় নিহতের সহকারী অ্যাডভোকেট মোস্তফা জামান জসিম বাদী হয়ে ৫ জন এজাহার নামীয়সহ ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় বিজয় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে অংশগ্রহণ শেষে বাসায় ফিরছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু, তার ছেলে শাফিউল হক আলভী, আরফানুল হক আবরিন এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদ এবং কুমিল্লা বারের সদস্য আবুল কালাম আজাদ।
এ সময় নগরীর মোগলটুলী এলাকায় ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ রায়হান আহমেদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি এবং ককটেল ছুড়ে। এতে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ কোমরে গুলিবিদ্ধ হন। আর আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু এবং তার দুই ছেলের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা ট্রমা হসপিটালে ভর্তি করেন। ওই হসপিটালে ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে আবুল কালাম আজাদের মৃত্যু হয়। ওই আইনজীবীর মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে আসেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
চিকিৎসাধীন আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু বলেন, বিজয় মিছিল শেষে বাসায় ফেরার পথে কাউন্সিলর সৈয়দ রায়হান আহমেদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর গুলিবর্ষণ এবং ককটেল ছুড়ে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ৫ জন এজাহার নামীয়সহ ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এতে কাউন্সিলর রায়হানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।