নাঙ্গলকোটে বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে, ভোগান্তিতে জনসাধারণ
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের পৌর মেয়র ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে রয়েছেন। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে।
জানা গেছে, আওয়ামীপন্থি চেয়ারম্যানদের অনেকেই ক্ষমতার পালাবদলের কারণে নিজেদের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের রোষাণল থেকে বাঁচতে ইউনিয়ন পরিষদে আসছেন না। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন সেবাগ্রহীতারা বিভিন্ন সনদের আবেদন করেও চেয়ারম্যানদের স্বাক্ষর না থাকায় প্রয়োজনীয় সনদ পাচ্ছেন না। এতে করে জরুরি প্রয়োজনীয় অফিসিয়াল কাজ করতে পারছেন না ভুক্তভোগীরা।
গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে নাঙ্গলকোট থানা, রেলস্টেশন, ডাকঘর, বিদ্যুৎ অফিসসহ কয়েকটি সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা। এসময় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয় উপজেলার বক্সগঞ্জ, পেরিয়া, সাতবাড়িয়া, রায়কোট উত্তর, রায়কোট দক্ষিণ, হেসাখাল ও বটতলী ইউনিয়ন পরিষদ।
উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে প্রায় ১২টিতে জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে থাকায় পরিষদের কর্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। এতে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, নিজেদের বিভিন্ন অপকর্ম ঢাকতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যানরা অফিসে না এসে গা ঢাকা দিয়েছেন। স্বাক্ষর নিতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়, বাড়ি কিংবা মোবাইলফোনেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মৃত্যুসনদ, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, নাগরিক সনদপত্র, ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
উপজেলার হেসাখাল ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, পরিষদ ভাঙচুর করা হয়েছে। একদিন অফিস করেছি, তবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এছাড়াও কয়েকজন চেয়ারম্যানকে মোবাইলফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি।
নাঙ্গককোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, গত ৫ আগষ্ট উপজেলার পেরিয়া, বক্সগঞ্জ ও রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুরের তথ্য আমার কাছে এসেছে। এ ভয়ে অনেক চেয়ারম্যান অফিস করছেন না। চেয়ারম্যানদেরকে বলা হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে অফিসে গিয়ে সেবা প্রদানের জন্য।