চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে এক যুবদলকর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করে তার লাশ খণ্ড-বিখণ্ড করে ছাগলের খামারে লুকিয়ে রাখে হত্যাকারীরা। অবশেষে সাত দিন পর যুবদলকর্মীর খণ্ড-বিখণ্ড মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত যুবদলকর্মীর নাম ছায়েদ আলম (৩৫)।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার সোনাপাহাড় এলাকার প্রায় দেড় কিলোমিটার পূর্বে দূর্গাঘোনা নামক পাহাড়ের পাদদেশ থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ছায়েদ জোরারগঞ্জ থানার ৩ নম্বর জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সোনাপাহাড় গ্রামের মো: দেলোয়ার হোসেন কেরানীর ছেলে। মীরসরাইয়ে দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর মেজর আরেফিনের নেতৃত্বে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার কার্যক্রম চালায়। 

নিহতের ভাতিজা নাজমুল হোসেন জানান, (৫ আগস্ট) আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ছায়েদ আলম মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত বিজয় মিছিল করে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে। রাতে মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার সময় নিখোঁজ হয় ছায়েদ। এরপর থেকে গত সাত দিন নিখোঁজ ছিলেন। আজ বিকেলে রেল লাইনের পাশে একটি ছাগলের খামারে একটি লাশ দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে উনাকে সনাক্ত করেছি। 

তিনি আরও জানান, আমার চাচা যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী। তাকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে হত্যা করেছে। 

মীরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নিহত ছায়েদ আমাদের দলের লোক। সে যুবদলের সক্রিয় কর্মী। তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি তাদের খুনের চিহ্ন প্রকাশ করতে না পারার জন্য মৃত্যুর পর ছায়েদের লাশ নৃশংসভাবে খণ্ড-বিখণ্ড করে দিয়েছে। 

এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল হারুণ জানান, সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসছে। ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।