স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান, শিশুপুত্রকে হত্যা করে বাবার আত্মহত্যা
যশোর ব্যুরো ও ঝিকরগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ১১ মাসের শিশুপুত্র আয়মান হোসেনকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বাবা ইমামুল হোসেন (২৮)।
রোববার রাতে নিজ বাড়িতে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। নিহত ইমামুল জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার শরীফপুর গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ইমামুল দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে ছিলেন। তার স্ত্রী মমতাজ বেগমকে (২৩) তার বাবার বাড়িতে যেতে দিতেন না। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী মমতাজ ও ইমামুলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী মমতাজ জোর করেই ১১ মাসের শিশুসন্তান আয়মানকে তার বাবা ইমামুলের কাছে রেখে বাবার বাড়ি হাড়িয়াদিয়া গ্রামে চলে যান। শিশু বাচ্চাটি দুধের জন্য কান্নাকাটি শুরু করে। সে কান্না থামাতে না পেরে বাচ্চাটিকে গলাটিপে হত্যা করেন। এরপর বাবা ইমামুল রাতের কোনো এক সময়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ইমামুলের মা রহিমা বেগম বলেন, গতকাল বউমা মমতাজ বেগম আর ছেলে ইমামুল দুজনে বউয়ের বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে গণ্ডগোল করে। একপর্যায়ে ছোট্ট শিশুটিকে ফেলে রেখে সে বাবার বাড়িতে চলে যায়। দিনের বেলায় আমি বাচ্চাটাকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে কোনো রকম রেখেছিলাম। কিন্তু ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে আমার ছেলে এনামুল ঘুমায়। সকালে উঠে দেখি আমার ছেলের মৃতদেহটি রশিতে ঝুলছে। পাশে বিছানায় আমার ছোট্ট আয়মানের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।
ঝিকরগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে ইমামুল আত্মহত্যা করেছে। ইমামুলের ঘরে তার ছোট্ট শিশুসন্তান আয়মান কেও মৃত অবস্থায় পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে— পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশুসন্তানকে রেখে তার মা মমতাজ বেগম বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ায় সে বাচ্চাটিকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছে। অন্য কোনো কারণ আছে কিনা এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।