১২ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রাম স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যরা।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে সাদা পোশাকে অর্ধ শতাধিক আরএনবি সদস্য এ সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় দাবি বাস্তবায়নের জন্য ৭ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা।
অন্যান্য বাহিনীর মতো সব সুযোগ-সুবিধার দাবিতে গত ৭ আগস্ট থেকে নানা ধরনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছেন আরএনবি সদস্যরা।
এদিকে জাতীয়করণের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেছেন আনসার সদস্যরা। সারাদেশে প্রায় ৬০ হাজার সদস্যের এ বাহিনীকে জাতীয়করণের দাবি দীর্ঘদিনের হলেও সরকারের উচ্চ দপ্তরে তোলা হয়নি বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
আরএনবির দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের আহবায়ক সাদ্দাম হোসেন বলেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ২০১৬ সনের ২ নং আইন অনুযায়ী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে একটি শৃঙ্খল বাহিনী। অন্যান্য বাহিনীর মতো আমরা সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা চাই। আধুনিকায়ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা এখনো সাদা পোশাকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে রেলওয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছি; কিন্তু আগামী ৭ দিনের মধ্যে আমাদের ১২ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে কর্মস্থল ত্যাগসহ কর্ম বিরতি পালন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি মানা হলে দপ্তরাদেশ জারি করতে হবে। কোনো ধরনের মৌখিক আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা কাজে যোগদান করব না।
এর আগে গত ৬ আগস্ট সিলেটের ভোলাগঞ্জে আরএনবির বাংকারে হামলা চালায় দুষ্কৃতকারীরা। ওই হামলায় আরএনবি সদস্যকে আহত করে অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় অজ্ঞাতরা। এরপর ৭ আগস্ট থেকে ১২ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রামে সারাদিন কর্মবিরতি পালন শুরু করে আরএনবি সদস্যরা।
খবর পেয়ে ওই রাতে রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও পূর্বাঞ্চলে আরএনবির চিফ কমান্ড্যান্ট মো. জহিরুল ইসলাম মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করেছিলেন।
এদিকে রোববার সকালে ইউনিফরম পরিহিত কয়েকশ সাধারণ আনসার সদস্য চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়। বিক্ষোভে অংশ নেয়া আনসার সদস্য তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রশিক্ষিত। সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, দপ্তর সশস্ত্র পাহারা দিয়ে আসছি। অথচ তিন বছর পর পর আমরা বেকার হয়ে যাই। কয়েক মাস বেকার থাকার পর আবার অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজে নেওয়া হয়। অথচ আমাদের চেয়ে কম কাজ করে ব্যাটালিয়ন আনসাররা। এখন থানায় পুলিশ নেই। আমরা নির্দেশনা মেনে থানা পাহারা দিচ্ছি। সড়কে ট্রাফিকের কাজ করছি। তবুও আমরাই নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছি।